বরগুনা সদরসহ পাঁচ উপজেলার ভূমিহীন ও গৃহহীনরা পেতে যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহার ৮৩১ টি ঘর


স্টাফ রিপোর্টার :

বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আগামী বুধবার (৯ আগস্ট) গণভবন থেকে ভার্চুয়াললী যুক্ত হয়ে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের উপকারভোগীদের নিকট ৪র্থ পর্যায়ের ২য় ধাপে জমিসহ গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করবেন।

এ প্রকল্পের আওতায় বরগুনা জেলার সদর উপজেলায় ২২০টি, আমতলীতে ৭৫টি, পাথরঘাটায় ৩৩০টি, বেতাগীতে ৪৯টি ও তালতলীতে ১৫৭টি সহ মোট ৮৩১ টি জমিসহ ঘর হস্তান্তর কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে।

এ উপলেক্ষে বরগুনা জেলা প্রশাসক মোহা: রফিকুল ইসলাম সোমবার (৭ আগস্ট) বিকেল ৩ টার দিকে জেলা প্রশাসক কার্যালয়’র ‘সুবর্ণ জয়ন্তী’ হলরুমে প্রেস ব্রিফিং এর মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিৎ করেন। এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) পিজুস চন্দ্র দে, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক, শিক্ষা ও আইসিটি) ফয়সাল আহমেদ, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: কাওসার হোসেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) চন্দন কর, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিল্টন চাকমা উপস্থিত ছিলেন।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) পিজুস চন্দ্র দে স্বাক্ষরিত প্রেস রিলিজ এর তথ্যমতে ০২ শতাংশ করে জমি ও একটি সেমি পাকা ঘর প্রদান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ইতোমধ্যে ১ম পর্যায়ে ২৩২টি, ২য় পর্যায়ে ৯৭৬টি, ৩য় পর্যায়ে ৮১৭টি এবং ৪র্থ পর্যায়ের ১ম ধাপে ৩৮৮টিসহ সর্বমোট ২ হাজার ৪শ’ ১৩টি ঘরের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করে উদ্বোধন করা হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আগামী ৯আগস্ট বরগুনা জেলার ৪র্থ পর্যায়ের ২য় ধাপে অবশিষ্ট পাঁচ উপজেলায় ঘরের উদ্বোধন করবেন।

সমগ্র বাংলাদেশে ‘ক’ শ্রেণি অর্থাৎ একেবারেই ভূমিহীন ও গৃহহীন ২লাখ ৯৩হাজার ৩৬১ পরিবারের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। বরগুনায় ৩হাজার ২শ’ ৪৪টি পরিবারকে ‘ক’ শ্রেণির আওতাভুক্ত করা হয়েছে।

আশ্রয়ণ মানে কেবল আবাসনের ব্যবস্থা নয় বরং এর পরিধি আরো ব্যাপক ও বিস্তৃত। উপকারভোগীরা দুই শতাংশ করে জমি পেয়েছেন এবং একটি আধা পাকা দুই কক্ষের ঘরে বিনামূল্যে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করা হয়েছে। গৃহসহ জমি স্বামী এবং স্ত্রী উভয়ের নামে যৌথভাবে দলিল করে দেয়া হয়েছে। প্রকল্প এলাকায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক বৃক্ষ রোপন, হাঁস-মুরগি লালন-পালন, সবজি চাষ করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সুপেয় পানির জন্য প্রতি ১০টি পরিবারের বিপরীতে ১টি করে গভীর নলকূপ স্থাপন করা হয়েছে। ফলে উপকারভোগীরা ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত রোগ থেকে মুক্ত থাকবেন। শিশু-কিশোরদের শরীর গঠন ও বিনোদনের জন্য প্রকল্প এলাকায় রয়েছে খেলার মাঠ। একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ আধুনিক গ্রামের সকল নাগরিক সুবিধাই বিদ্যমান রয়েছে এ আশ্রয়ণ প্রকল্পে।

উল্লেখ্য, বিগত ২০২৩ সালের ২২ মার্চ ৩য় পর্যায়ের ৯২টি গৃহ উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে বরগুনা জেলার প্রথম উপজেলা হিসেবে বামনা উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত উপজেলা ঘোষণা করা হয়েছে। এ নিয়ে বরগুনা জেলার ০৬টি উপজেলার মধ্যে ৪টি উপজেলাই ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত হতে যাচ্ছে।

Spread the love
       
 
 
    

Leave a Reply

Your email address will not be published.