তিন চিকিৎসকের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতেবরগুনায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ

সিনিয়র রিপোর্টার
রাজধানীর গ্রিন রোডে অবস্থিত সেন্ট্রাল হাসাপাতালে ভুক্তভোগীর পরিবারের দাবি তোলা ভুল চিকিৎিসায় নবজাতক ও তার মায়ের মৃত্যুর ঘটনা এবং সারাদেশে চিকিৎসক নিগ্রহ ও গ্রেফতার হওয়া তিন চিকিৎসক ডাক্তার মিলি, ডাক্তার মুনা ও ডাক্তার শাহজাদীর নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন বরগুনায় কর্মরত চিকিৎসকগণ।

রোববার (১৬ জুলাই) দুপুর ১ টার দিকে চিকিৎসকদের আয়োজনে জেলা সদর হাসপাতাল চত্ত্বরে ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোঃ মাহবুব হোসেন’র সভাপতিত্বে ও মেডিকেল অফিসার (গাইনি) ডা. ঋতুর সঞ্চালনায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তৃতা করেন- বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সাবেক পরিচালক ডা. ইউনুস আলী, সাবেক সিভিল সার্জন ডাক্তার জহিরুল ইসলাম, ডাক্তার রুস্তম আলী, সদর হাসাপাতালের সাবেক তত্ত্বাবধায়ক ডা. সোহরাব উদ্দীন, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার তাসকিয়া সিদ্দিকাহ, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন’র সহ-সভাপতি ডা. গোলাম সরোয়ার, ওজিএসবি’র সদস্য গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. মাহবুবুর রহমান। এসময় বরগুনার চিকিৎসা বিভাগের অগ্রজ ও অনুজ চিকিৎসকগণ এবং একাত্মতা প্রকাশ করে বরগুনা আল্লাহ মালিক হসপিটাল লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু হাসান ও মডার্ন সেন্ট্রাল ক্লিনিকের আব্দুল লতিফ উপস্থিত ছিলেন।

উপস্থিত চিকিৎসকদের মধ্যে বক্তৃতা করা চিকিৎসকগণ বলেন- একজন চিকিৎসক কখনোই কাউকে মারতে পারেন না। বরং একজন অসুস্থ ব্যক্তিকে সুস্থ করে তোলাই চিকিৎসকের প্রথম ব্রত। অথচ কেউ কেউ অপচিকিৎসা কিংবা ভুল চিকিৎসা বলে মিথ্যাচার করে থাকনে। রোগের তারতম্যের কারণে একই রোগের চিকিৎসা নেওয়া ব্যক্তিদের কেউ আগে আর কেউ পরে সুস্থ হন। এখানে মেডিসিন আলাদা হলেও বেসিক চিকিৎসা প্রত্যেক চিকিৎসকের চিকিৎসার পদ্ধতি একই হবে। তাই আচমকাই না জেনে ভুয়া কিংবা অপচিকিৎসা বলে অপপ্রচার না করে জেনে নেওয়া উচিত।

তারা আরও বলেন- একজন চিকিৎসক ভুল চিকিৎসা দিয়ে থাকলে অপর একজন চিকিৎসকই কেবল তা বুজবেন। তাই অপচিকিৎসা কিংবা ভুয়া চিকিৎসা বলে দাবি করা ব্যক্তির কথার উপরে নির্ভর না করে জেনেশুনে সংবাদ পরিবেশন করার জন্য সংবাদকর্মীদের প্রতি উদার্ত আহ্বান জানান। একই সাথে কোন ধরণের অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটলে সাথে সাথে ওই চিকিৎসককে গ্রেফতার করা কিংবা জেল হাজতে পাঠানোর আগে সঠিক তদন্ত করে নিতেও অনুরোধ করেন তারা। জীবন দান করা কিংবা রক্ষা করার ক্ষমতা একমাত্র সৃষ্টিকর্তাই রাখেন। তবে মানুষ হিসেবে চিকিৎসাবিদ্যার জ্ঞান লব্ধ করে একজন চিকিৎসক কেবল মানুষের রোগ নির্ণয় করে সুস্থ হওয়ার প্রক্রিয়া গ্রহন করে থাকেন। চিকিৎসকরা কখনোই রোগীর প্রাণ যাবেনা বলে শপথ নিয়ে চিকিৎসা সেবা করার ব্রত করেন না। সর্বোচ্চ চেষ্ট করে একজন রোগী সুস্থ করে তোলাই কেবল চিকিৎসকের ব্রত। তাই চিকিৎসকদের উপরে এমন বর্বরতা মেনে নেয়া সম্ভব নয়। বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিকিৎকবান্ধব স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন করার জোড় দাবী তোলা হয় এ সমাবেশ থেকে।

Spread the love
       
 
 
    

Leave a Reply

Your email address will not be published.