অবহেলায় সম্ভাবনাময় পর্যটন কেন্দ্র তালতলীর শুভ সন্ধ্যা


আবুল হাসান


বঙ্গোপসাগরের কোলঘেঁষা তালতলীর শুভ সন্ধ্যা সমুদ্র সৈকত এখন পর্যটন কেন্দ্র। সার্বক্ষণিক তুমুল বাতাসে ঝাউবনে বইতে থাকে শো শো শব্দের বাতাস। অন্যদিকে রয়েছে সাগরের উত্তাল ঢেউ। এ যেন বিশাল আকৃতির পাহাড় গড়িয়ে আসে তীরের বুকে। বালুর কনায় ভরপুর দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত। সারি সারি ঝাউ গাছ সহ নানা প্রজাতির গাছপালায় ভ্রমন পিপাসুদের নিয়ে যায় এক নবীন জগতে। যেখানে পাওয়া যায় প্রাকৃতিক প্রেমের এক নয়া উদাহরণ।


বলছিলাম বঙ্গপসাগরের কোলঘেঁষা উপকূলীয় এলাকা বরিশালের বরগুনা জেলার তালতলী উপজেলার নিশানবাড়ীয়ার নলবুনিয়া এলাকায় অবস্থিত শুভ সন্ধ্যা সমুদ্র সৈকতের কথা। প্রাকৃতিক পরিবেশের দিক থেকে বরিশালের কুয়াকাটার পরে ভ্রমণপিপাসুদের কাছে শুভ সন্ধ্যা সমুদ্র সৈকত একটি অন্যতম তীর্থ স্থান। এখন কুয়াকাটা রেখে প্রেমে পড়েছে শুভ সন্ধ্যার।

যেখানে সাড়িতে সাড়িতে হাজার হাজার ঝাউ গাছ রয়েছে, রয়েছে মন জুড়ানো খোলা হাওয়ার শীতল পড়শ। বাতাসের শব্দ যেনো স্বাগতম জানাচ্ছে সুরে সুরে । তবে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল, ইয়াস, আয়লা, আম্ফান, মহসীন সহ বেশ কয়েকটি ঘূর্ণিঝড়ের তান্ডবে বিলীনের পথে এই শুভ সন্ধ্যা সমুদ্র সৈকত ও সৌন্দর্যে ঘেরা ঝাউবন। একদিকে রয়েছে বনদস্যু, যারা দিনদিন বন থেকে কেটে নিয়ে যাচ্ছে ঝাউবনে থাকা গাছ। অন্যদিকে রয়েছে অবৈধ বালু উত্তোলনের আখড়া। যার কারণে ভূখন্ডে পরিণত হতে যাচ্ছে এই সমুদ্র সৈকত।


ঢাকা থেকে আসা ভ্রমন বিপাসু মারিয়া আক্তার জানায়, আমি দেশের বেশ কয়েকটি স্থানে ভ্রমনে গিয়েছি। তবে এখানে আমার প্রথম আসা। খুব ভাল লাগছে নিজেকে। সতেজ একটা আবহাওয়া যেনো মনকে আন্দোলিত করে দেয়। সত্যিই এটি আমার কাছে ভ্রমনের জন্য অসাধারণ একটি স্থান। আসপাশে থাকা খাওয়া ও থাকার সুব্যবস্থা থাকলে আশা করি পর্যটকদের আনা-গোনা অনেকটা বেড়ে যাবে।

স্থানীয়রা জানান, ভ্রমন পিপাসুদের কাছে শুভ সন্ধ্যা একটি অন্যতম স্থান। যেখানে রয়েছে মন জুড়ানো আভা। সেই আভাকে অপূর্নতায় নিয়ে যাচ্ছে আমাদের আসপাশের কিছু প্রাকৃতিক শত্রু। দিন দিন বনের গাছ কেটে নেয়ায় বন সুন্দর্য্য হারিয়ে যাচ্ছে। অতি দ্রুত বন উজাড়কারীদের আইনের আওতায় না আনতে পারলে পর্যটন হারাবে পর্যটক, সেই সাথে সৌন্দর্য হারাবে শুভ সন্ধ্যা সৈকত।

Spread the love
       
 
 
    

Leave a Reply

Your email address will not be published.