বরগুনার রাজনীতি : তৃনমূলের ভাবনা

গোলাম কিবরিয়া

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নীতি নির্ধারকরা সম্প্রতি সময়ে বরগুনা জেলা বিএনপির নুতন আহবায়ক কমিটি অনুমোদন দেয়ায় তৃনমূলে আস্থা বাড়েছেন। তৃনমূলের নেতা-কর্মীরা নুতন এ নেতৃত্বের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাসের কমতি নেই। দীর্ঘ তিনটি বছর পরে তারা যেন ফিরে পেয়েছেন স্বস্তি নিশ্বাস।

প্রবিন ও তরুণদের সমন্বয়ে গঠিত জেলা বিএনপির ৩১ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটিকে ইতিমধ্যে জেলার সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী সমর্থন ও ফুলের শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন। নুতন এ জেলা বিএনপি সাংগঠনিক কার্যক্রমের পাশাপাশি কেন্দ্র ঘোষিত সকল আন্দোলন ও সংগ্রাম সতস্ফূর্ত পালনও করেছেন। সর্বপরি বরগুনা জেলাবাসি তাদের আশা সঞ্চালনার কমিটি পেয়েছেন।


অপরদিকে জেলা বিএনপিতে তরুন এক নেতাকে পেয়ে তৃনমূলের নেতা-কর্মীরা আশার আলো দেখছেন। তিনি হলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সহসম্পাদক শ্রম ও জেলা বিএনপির একনম্বর সম্মানিত সদস্য ফিরোজ উজ জামান মামুন মোল্লা। কয়েক বছরের মধ্যেই তিনি জেলার সর্বত্র তরুনদের মনে স্থান করে নিয়েছেন। তরুনদের আশ্রয় ও ভরসাস্থল এখন এ তরুন নেতা ফিরোজ উজ জামান মামুন মোল্লা । তিনি প্রতি মাসে দুই বার নেতা-কর্মীদের খোঁজ খবর ও দু:খ কষ্ট মুছে দিতে ঢাকা থেকে বরগুনা আসেন। বরগুনা এসেই তিনি সদর,আমতলী,তালতলী উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে দলের সকল অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতা-কর্মীর সার্বিক খোজ খবর নেন। সবর্ত্র খবর নেন দলের অবহেলিত ও নির্যাতিত কর্মীদের। এককথায় তরুন এ বিএনপি নেতা ফিরোজ উজ জামান মামুন মোল্লা সবার প্রিয় ও ভালোবাসার ব্যক্তিত্ব হয়ে আছেন।


বরগুনা জেলা বিএনপির আহবায়ক মাহবুবুল আলম ফারুক মোল্লা, সদস্য সচিব তারিকুজ্জামান টিটু, যুগ্ম আহবায়ক এজেডএম সালেহ ফারুক, তালিমুল ইসলাম পলাশসহ সম্প্রতি সময়ে পাওয়া ৩১ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটির অনুমোদনের সময় তিন মাস যেতে না যেতেই তারা জেলার ৬ টি উপজেলা ও ৪ টি পৌর মোট এ দশটি ইউনিটটে ঘুরে ঘুরে কর্মীসভা করে বিচক্ষনের সাথে ইতিমধ্যে আটটি ইউনিট কমিটি অনুমোদন দিতে সক্ষম হয়েছেন।

অন্যদিকে এ নুতন ৮ ইউনিটে আহবায়ক কমিটি অনুমোদন পেয়ে তারা তৃনমূলের নেতা-কর্মীরা এখন বেশ উজ্জীবিত হয়েছেন।


বরগুনা সদর উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব রাকিবুল ইসলাম রাকিব জানান, বরগুনা জেলা বিএনপির বর্তমান যে আহবায়ক কমিটি গঠন হয়েছে তা হয়েছে দেশ সেরা কমিটি। আমরা সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা এ কমটিতে আনন্দিত ও উজ্জীবিত। ৩১ সদস্য বিশিষ্ট এ কমিটির অধিকাংশই তরুন হওয়াতে আমরা বেশি খুশি।


জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি সানা উল্লাহ সানি বলেন, বরগুনা জেলা বিএনপির নুতন কমিটি আসলেই সুন্দর ও নেতৃত্বপূর্ন হয়েছে। দীর্ঘ কয়েক বছর পরে হলেও এবার আমরা বরগুনাবাসি বিএনপিতে তরুন এক নেতা ফিরোজ উজ জামান মামুন মোল্লাকে পেয়ে আশার আলো দেখছি। আমরা তার উদারতা দেখে মন বেশ উজ্জীবিত।

জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জাবেদুল ইসলাম জুয়েল বলেন, দলের এখন খারাপ সময় চলছে, তাই সকলে আমরা ক্ষমতা ও পদের দ্বন্দ, বেদাভেদ ভূলে গিয়ে একসাথে রাজপথে থেকে আন্দোলন,সংগ্রাম সফল করতে চাই। সে ক্ষেত্রে ঐক্যের বিকল্প নেই।
বরগুনা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব তারিকুজ্জামান টিটু বলেন, দেশ নায়ক তারেক রহমান আমাকে নুতন নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাই সে ভাবেই চেষ্টা করি সকলকে নিয়ে সতস্ফূর্ত দায়িত্ব পালন করার। সাংগঠনিক নিয়ম-নীতি মেনেই ইউনিট কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়েছে।


বরগুনা জেলা বিএনপির আহবায়ক মাহবুবুল আলম ফারুক মোল্লা বলেন, আমাকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বরগুনা জেলা বিএনপির আহবায়কের দায়িত্ব দেয়ার পর থেকে সকলকে নিয়ে দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করছি। জেলা কমিটি অনুমোদন পাওয়ার তিন মাস যেতে না যেতেই জেলার ছয়টি উপজেলা ও চারটি পৌর মোট দশটি ইউনিটে গিয়ে আলাদা আলাদা সময়ে কর্মীসভা করেছি। দলের পদ পদবি চাওয়া নেতাদের কাজ থেকে দলীয় বায়োডাটা (সিভি) নিয়ে বিচক্ষণতার সাথে আটটি ইউনিট কমিটি অনুমোদন দিয়েছি। এর পাশাপাশি কেন্দ্র থেকে ঘোষিত সকল প্রোগ্রামের নির্দেশনা অনুযায়ী সতস্ফূর্তভাবে পালন করেছি।


এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সম্পাদক শ্রম ও বরগুনা জেলা বিএনপির এক নম্বর সদস্য ফিরোজ উজ জামান মামুন মোল্লা বলেন, ইউনিট কমিটি অনুমোদনের ক্ষেত্রে জেলার নীতি নির্ধারকদ্বয় চুল ছেড়া বিশ্লেষণের মাধ্যমে স্বল্প কয়েক জনের স্বমন্বয়ে আটটি ইউনিটে আহবায়ক কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়েছে। গত তিন মাস আগে আগামীর রাষ্ট্র নায়ক, দলের দায়িত্বে থাকা চেয়ারম্যান, দেশ নায়ক তারেক রহমান মহোদয় বরগুনা জেলা বিএনপির ৩১ সদস্য আহবায়ক কমিটি অনুমোদন দিয়েছেন। আমি আশা করি এই কমিটি ভোট চোর, শ্বৈরশাষক, শেখ হাসিনা সরকারকে আন্দোলনের মাধ্যমে রাজপথে থেকে পতন ঘটাতে সক্ষম হবো ইনশাআল্লাহ। বিএনপির এ বৃহত্তর দলে সবাই পদ পদবি চাইবে। তবে কম সংখ্যক পদ-পদবি থাকায় সবাইকে তো খুশি রাখা যায় না। দলের যে যেমন কাজ করবে সে তেমনই মূল্যায়িত হবে। আমার নেতা তারেই রহমান ও কেন্দ্রীয় সিনিয়র নেতৃবৃন্দ আমাকে এ দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তাই চেষ্টা করি সতস্ফূর্ত পালন করার।

Spread the love
       
 
 
    

Leave a Reply

Your email address will not be published.