সন্তানের সফলতা ছিলো হয়তো তাঁর শেষ দেখা

মো: সানাউল্লাহ্ রিয়াদ :
জীবনের শেষ যাত্রাটা যদি হয় সম্মান আর গৌরবের; সেটা কারই না ভালো লাগে! হয়তো তিনি দেখেছেন আর শুনেছেন তাঁকে নিয়ে সবার মুখে সুন্দর প্রশংসা। আর নিজ চোখে দেখে আর কানে শুনে গেছেন সন্তানের জন্য সবার তৃপ্তিময় ভালোবাসা। সব মিলিয়ে তিনি আজ খুশি। কোন কিছুরই হয়তো আর বাকি নেই। তবে সন্তানের দীর্ঘ সময়ের সুন্দর এ পথ চলার সারথী হতে পারলেন না। সাধারণ মানুষের মুখে ছিলো যে প্রশংসা আর চাওয়া, তা কেবল মহান রাব্বুল আলামীন এঁর দরবারে সোবহান মিয়ার জন্য বেহেস্তের সর্বোচ্চ স্থান। লাখো মানুষের শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় বিদায় নিবেন, এ কল্পনা হয়তো সোবহান মিয়ার ছিলো না।

কে এই ব্যক্তি? হ্যাঁ, এই ব্যক্তিটি বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগ’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, একজন কঠোর পরিশ্রমী ও গণমানুষের নেতা এবং সম্প্রতি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১০৯, বরগুনা-১ আসন থেকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে হয়েছেন জাতীয় সংসদের মাননীয় সংসদ সদস্য। এই সংসদ সদস্য গোলাম সরোয়ার টুকু’র পিতা আলহাজ্ব আবদুস সোবহান হাওলাদার। যিনি প্রথম রমজান থেকে ফুসফুস ও নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে ঢাকার পপুলার হাসাপতাল ও পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের চিকিৎসায় থাকাকালীন বুধবার (২৭ মার্চ) সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স ছিলো ৮২ বছর। তিনি তিন ছেলে ও তিন মেয়ে, নাতী-নাতনীসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।

তিনি তাঁর জীবদ্দশায় একজন সুস্থ্য ও সফল ব্যক্তি ছিলেন। বরগুনার সদরঘাট কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ’র নিয়মিত একজন মুসুল্লী এবং পরিপাটি ও সুশৃঙ্খল ব্যক্তি ছিলেন। মৃত্যুর পরে বুধবার সকাল ১১টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদ প্রাঙ্গণে প্রথম জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। পরে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় বরগুনার সার্কিট হাউজ মাঠ প্রাঙ্গণে দ্বিতীয় ও মরহুমের নিজ গ্রাম সদর উপজেলার ৬নং বুড়িরচর ইউনিয়নের ছোট লবনগোলায় তৃতীয় জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে সমাহিত করা হয়।

সংসদ সদস্য গোলাম সরোয়ার টুকুর পিতা আলহাজ্ব আবদুস সোবহান মিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ ও সমবেদনা জানিয়েছেন- ১১০, বরগুনা-২ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য সুলতানা নাদিরা, ৩১৪, সংরক্ষিত মহিলা আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য প্রভাষক ফারজানা সুমি, জেলা প্রশাসক মোহাঃ রফিকুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মোঃ আবদুস ছালাম, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ জাহাঙ্গীর কবির, পৌর মেয়র অ্যাড. কামরুল আহসান মহারাজ, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ মনিরুল ইসলাম, ভাইস চেয়ারম্যান ইমরান হোসেন রাসেল ফরাজী, সাবেক পৌর মেয়র মোঃ শাহাদাত হোসেন, দৈনিক স্বাধীন বাণী পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক চৌধূরী মুনীর হোসেন, বেতাগী পৌর মেয়র এবিএম গোলাম কবির, পাথরঘাটা পৌর মেয়র মোঃ আনোয়ার হোসেন, আমতলী পৌর মেয়র মোঃ মতিয়ার রহমান সহ বরগুনার বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক অঙ্গনের মানুষ।

Spread the love
       
 
 
    

Leave a Reply

Your email address will not be published.