ফের কমলাপুর স্টেশনে আটকে দেওয়া হয়েছে ঢাবি ছাত্র রনিকে


ঢাকা প্রতিনিধি
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে প্রবেশকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রণিকে গেটে আটকে দিয়েছে নিরাপত্তাকর্মীরা। এ ঘটনায় সেখানে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
স্টেশন এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

শুক্রবার (২২ জুলাই) বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে সহপাঠীসহ স্টেশনে প্রবেশ করার সময় মূল ফটকে তাকে আটকে দেওয়া হয়।

ঢাবি শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনি বাংলাদেশ রেলওয়ের অব্যবস্থাপনা পরিবর্তনে ছয় দফা দাবি পূরণে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছিলেন। কিন্তু রেল কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) ফের শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়ে সহযোগীদের নিয়ে কমলাপুর রেলস্টেশন যান তিনি। সেখানে ঢুকতে গেলে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে হাতাহাতি, ধাক্কাধাক্কি হয়। এ ঘটনাকে হামলা ও নৈরাজ্য বলে অভিযোগ করেন তারা।

সেদিন ওই ঘটনার পর প্ল্যাটফর্মে প্রবেশের ফটকের সামনে অবস্থান নেন রনিরা। পরে রাজধানীর শাহবাগে এসে অবস্থান নেন রনি, তার সহপাঠী-বন্ধু ও অন্যান্য শিক্ষার্থীরা।

গত ৭ জুলাই রেলওয়ের অব্যবস্থাপনা ও যাত্রী হয়রানির প্রতিবাদে হাতে শিকল বাঁধা অবস্থায় কমলাপুর স্টেশনে অবস্থান নেন মহিউদ্দিন রনি। ১৩ দিন ধরে তিনি সেখানে অবস্থান করেন। রনি ঢাবির থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র।

এর আগে, টিকিট না দিয়ে টাকা কেটে নেওয়ায় সহজ ডটকমের বিরুদ্ধে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগ করেন রনি। পরে, অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় বুধবার (২০ জুলাই) এক শুনানিতে ভোক্তা অধিদপ্তরের কার্যালয়ে সহজ ডটকমকে তলব করা হয়। সেখানে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটিকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। প্রতিষ্ঠানের নিয়মানুযায়ী জরিমানার ২৫ শতাংশ অর্থ পাবেন ভুক্তভোগী রনি।

যেসব দাবিতে রনি কর্মসূচি চালাচ্ছেন তার মধ্যে রয়েছে-

-টিকিট ব্যবস্থাপনায় সহজ ডটকমের হয়রানি অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে; হয়রানির ঘটনায় তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নিতে হবে।
-যথোপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে টিকিট কালোবাজারি প্রতিরোধ করতে হবে।
-অনলাইনে কোটায় টিকিট ব্লক করা বা বুক করা বন্ধ করতে হবে। সেই সাথে অনলাইন-অফলাইনে টিকিট কেনার ক্ষেত্রে সর্বসাধারণের সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।
-যাত্রী চাহিদার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানোসহ রেলের অবকাঠামো উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিতে হবে।
-ট্রেনের টিকিট পরীক্ষক ও তত্ত্বাবধায়কসহ অন্য দায়িত্বশীলদের কর্মকাণ্ড সার্বক্ষণিক মনিটর, শক্তিশালী তথ্য সরবরাহ ব্যবস্থা গড়ে তোলার মাধ্যমে রেল সেবার মান বাড়াতে হবে।
-ট্রেনে ন্যায্যমূল্যে খাবার বিক্রি, বিনামূল্যে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

Spread the love
       
 
 
    

Leave a Reply

Your email address will not be published.