তালতলীতে শেরে-বাংলা বংশের নাম ভাঙ্গিয়ে পারভীনের তান্ডব


আবুল হাসান

বরগুনার তালতলীতে এক মহিলা নিজেকে কখনো আওয়ামী লীগ নেত্রী, কখনো কখনো শেরে-বাংলা একে ফজলুল হকের বংশধর পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ সাধারণ মানুষের সাথে উদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করা সহ প্রতারণা করে আসছে বলে জানা গেছে।

প্রতিনিয়ত পারভীন মিথ্যা পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষকে হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছে। কয়েকদিন পূর্বে মুঠোফোনে শেরে-বাংলার বংশধরের মিথ্যা পরিচয় হুমকি দিতে গেলে পারভীনের অজান্তে ২টি কল রেকর্ড গনমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এ নিয়ে এলাকার মানুষের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

হুমকিদাতা ওই নারী উপজেলার ৫ নং বড়বগী ইউনিয়নের ফার্নিচার মিস্ত্রি আব্দুর রহিমের স্ত্রী।

মিথ্যা পরিচয়ে হুমকি প্রদানকারী ওই নারীর এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার পাখিমারা গ্রামের মৃত আনোয়ার সর্দারের মেয়ে পারভিন ওরফে কইতুরি বেগম। তার বংশের কেউ শেরেবাংলা বংশের সাথে জড়িত না থাকা সত্ত্বেও তিনি বিভিন্ন কলাকৌশলে মানুষের কাছে মিথ্যা পরিচয়ে নাম ভাঙ্গিয়ে হুমকি ধামকিসহ অর্থ দাবি করে বসছেন।

এবিষয়ে পারভীনের সাথে যোগাযোগের জন্য একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

শেরে বাংলা একে ফজলুল হকের দৌহিত্র এবং প্রয়াত সাবেক মন্ত্রী একে ফায়জুল হকের বড় ছেলে ফাইয়াজুল হক রাজু বলেন, এদেরকে আমি চিনিনা। আর আমি বুজতে পারছিনা এরা কেন আমাদের বংশের পরিচয় দিয়ে অপরাধে জড়িত হচ্ছে! এদের অধিকার নেই আমাদের বাপ দাদার বংশের নাম ভাঙ্গিয়ে কোন অপরাধের সাথে জড়িত হওয়ার। অনুসন্ধ্যান করে জানা গেছে, পটুয়াখালীর বাউফলের কাজী মোঃ ওয়াজেদ ও সাইদুন্নেছা খাতুনের একমাত্র পুত্র শেরেবাংলা একে ফজলুল হক এবং তার পুত্র ফায়জুল হক। তার সন্তানরা হল, একে ফাইয়াজুল হক (রাজু), ফারানাজ (রিপা), ফারজুল হক (ফায়সাল), ব্যারিস্টার একে ফজলুল হক জুনিয়র (পিক্কু), ফারসামিন হক ইকবাল (ফ্লোরা), ফাহসিনা হক (লীরা) এবং ফাহমিনা হক (শেমা)।

এবিষয়ে তালতলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)’র সাথে আমি কথা বলবো। এবিষয়ে তালতলী থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী শাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। অভিযোগ পেলে এদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Spread the love
       
 
 
    

Leave a Reply

Your email address will not be published.