জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যায় ফেরিঘাট, নিরসনে নেই কোন উদ্যোগ

স্টাফ রিপোর্টার 

বরগুনা জেলার নদ-নদীগুলোয় জোয়ারের পানি বিপৎসীমার ৩৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ কারণে পানিতে তলিয়ে গেছে বরগুনার তিনটি ফেরিঘাট। অপর তিন ঘাটের পন্টুন ডুবে গেছে। ভোগান্তি দেখা দিয়েছে যানবাহন চলাচলে। যাত্রীরাও পড়েছেন বিপাকে।

শনিবার (১৬ জুলাই) দুপুরে বরগুনা সদর উপজেলার দুটি ও বেতাগী উপজেলার একটি ফেরিঘাটের পন্টুন পানিতে তলিয়ে যায়। বুড়িশ্বর নদী বা পায়রা নদী ও বিষখালী নদীর জোয়ারের পানি বেড়ে যাওয়ায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

চলতি সপ্তাহের শুরু থেকে জেলার সব নদীর পানি আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। সম্প্রতি আমতলী-পুরাকাটা ও বড়ইতলা-বাইনচটকি এবং বেতাগী-কচুয়া ফেরিঘাট ডুবে গেছে।

এমন পরিস্থিতিতে এসব রুটে যাত্রী ও যানবাহন চলাচলে ব্যাপক ভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে। ফেরিতে পারাপার হওয়া এক যাত্রী জানান, ঘাট ডুবে যাওয়ায় চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। নদী পারাপারেও বিরাট ঝুঁকি থেকে যাচ্ছে।

তিন ঘাট ডুবে যাওয়ায় যাত্রী পারাপারে সমস্যা হয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। অপর দিনটি ঘাটের পন্টুন ডুবে যাওয়ায় কোন দিক দিয়ে যানবাহন ওঠা নামা করবে, তা নির্ধারণ করা যাচ্ছে না।

ফেরিঘাটের পাশের এক দোকানি জানান, বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে সাংবাদিকরা নিউজ করলেও কারও কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি। পত্রিকা-টেলিভিশনগুলোয় স্থানীয়রা কয়েকবার সাক্ষাৎকার দিয়েও কোনো সমাধান পায়নি।

বরগুনার পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) পানি পরিমাপক মো. মাহতাব হোসেন বলেন, বিষখালী ও খাকদোন নদীর পানি বিপৎসীমার ৩৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে প্লাবিত হয়েছে মাজের চরসহ নদী তীরবর্তী নিচু এলাকার বসতবাড়ি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং চরাঞ্চলের বিস্তীর্ণ ফসলি জমি। কিন্তু তারপরও কর্তৃপক্ষ থেকে এসব পরিস্থিতি নিরসনে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না।

এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও সড়ক বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

বরগুনার জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান বলেন, সাধারণ জনগণকে যাতে দুর্ভোগে পড়তে না হয়, সেজন্য আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছি। সার্বিক পরিস্থিতির ওপর সতর্ক দৃষ্টি রাখার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Spread the love
       
 
 
    

Leave a Reply

Your email address will not be published.