স্টাফ রিপোর্টার
বরগুনার পাথরঘাটার কাকচিড়া ইউনিয়নে এ বছর আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। ফলে উৎপাদন খরচ পুষিয়ে মোটামুটি লাভের মুখ দেখছেন আলুচাষীরা। তবে বাজার দর কিছুটা কম হলেও ভালো ফলন পেয়ে খুশি তারা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ক্ষেত থেকে আলু তোলা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন আলু চাষীরা। কেউ আবার বিক্রির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কৃষকরা জানান, ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে সৃষ্ট প্রকৃতির দুর্যোগে আলু আবাদে শুরুতে ফলন নিয়ে চিন্তিত ছিলেন আলু চাষিরা। তবে সেই দুর্যোগ কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন কৃষকরা।
আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন ভালো হয়েছে। এতে বেশ খুশি চাষিরা। সন্তোষজনক ফলন পাওয়ায় কৃষকদের আলু চাষে আগ্রহও অনেক বেড়ে গেছে। কৃষকদের উৎপাদিত আলু স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে চলে যায় বিভিন্ন জেলায়। এতে আলু চাষ করে অনেকেই স্বাবলম্বী হয়ে উঠছেন। তবে অর্থের যোগান দিতে বেগ পেতে হয়নি এ চাষিদের। স্বনামধন্য এনজিও সংগ্রাম’র অর্থায়নে আলু চাষীরা চাহিদানুযায়ী আলু চাষ করতে পেরেছে বলেও জানিয়েছেন। এনজিও সংগ্রাম এ বছর ৩ কোটি টাকা আলু চাষীদের ঋণ প্রদান করেছেন বলে নিশ্চিৎ করেছেন সংগ্রাম’র পরিচালক (ক্রেডিট) মোঃ হুমায়ুন কবীর।
পাথরঘাটার আলু চাষী হারুণ অর রশিদ, আঃ খালেক, দুলাল ও জিয়া মল্লিক জানান, পৌষের শেষ দিকে আলু চাষ করায় কিছুটা কম ফলন হয়েছে। ছত্রাকের প্রভাব তেমন দেখা যায়নি। তবে যে পরিমান আলু উৎপাদন হয়েছে তাতে পাইকার ঠিকভাবে থাকলে বিক্রি ভালো হত। পাথরঘাটা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে কোন ধরণের পরামর্শমূলক সহযোগিতা পায়নি বলে অভিযোগ অনেক আলু চাষীরই।
পাথরঘাটা কৃষি কর্মকর্তা শিশির কুমার বড়াল মুঠোফোনে বলেন, পাথরঘাটায় এ বছর মোট ৫৬০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে। ফলনও মোটামুটি ভালো। তবে কৃষকরা আরও একটু ভালো দাম পেলে ভালো হত। চাষীদের মাঠ পর্যায়ে কোন সহায়তা প্রদান করা হয়নি, আলু চাষীদের এমন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমরা আলু চাষীদের সর্বাত্তক সহযোগিতা করার চেষ্টা করেছি।