আবুল হাসান
মোগো ঘর নাই, মেঘ দেখলে বুকটা ধরফর করে। গতবছর পলিথিন দিয়ে কোন রকমের থাকছি, এখন কোন কিছু নাই। একটা ঘরের জন্য দুই বছর ধরে ঘুরতাছি, কয়েকবার ঘরের আবেদন করছি। কিন্তু সার্বেয়ার কয় মুই বলে ঘর পামু না, ক্যা পামুনা? গ্রামের সবাই কয় মোরে একটা ঘর দিতে। বরগুনার তালতলী উপজেলার দক্ষিণ সওদাগর পাড়া এলাকার নিতান্তই গরীব মালেকা বেগম একটি ঘরের জন্য গত দুই বছর উপজেলা পরিষদ থেকে ইউপি সদস্য পর্যন্ত সকলের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন। কিন্তু কারো নজরে পড়েনি তিনি, ফলে কোনো ঘরও পাননি।
মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) বেলা ১১ টার দিকে তালতলী উপজেলা পরিষদ ভবনের প্রবেশমুখে বসে মালেকা বেগম একটি ঘরের জন্য এমন আকুতি করেন।
মালেকা বেগম বলেন, বৃদ্ধা স্বামীকে নিয়ে খুবই কষ্টে জীবন যাপন করছি। ঘরের জন্য কয়েক দফায় আবেদন করেছি, কিন্তু আমি ঘর পাইনি। এই ঘরের আবেদন করতে যাওয়ার সময় গাড়ি এক্সিডেন্ট করে পা ভাঙছে আমার। আমি প্যারালাইসিস রোগী, আমার স্বামী বৃদ্ধ; কোন কাজ করতে পারে না, আমাদের দেখাশোনার জন্য আমার একটা নাতি ছাড়া আমার আর কেউ নাই। তিনি আরো বলেন, অন্তত থাকার জন্য সরকারের কাছে আকুতি করি একটি ঘরের জন্য।
নিশানবাড়ীয়া ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ মো. কামাল বলেন, মালেকা বেগম ও তার স্বামী নিতান্তই গরীব মানুষ। তাদের অভাবের সংসার পলিথিনের ঘরে বসবাস করেন, তারা একটি ঘর পাওয়ার যোগ্য। তালতলী উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কাওছার হোসেন বলেন, তাদের ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়েছি, তাদের একটি ঘর দেওয়া হবে।