স্টাফ রিপোর্র্টার
বরগুনার আমতলী উপজেলায় অষ্টম শ্রেণী পড়–য়া এক স্কুলছাত্রী বিয়েতে রাজি না হওয়ায় তাকে অপহরণ করে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে দুই যুবকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছেন ওই ছাত্রীর বাবা।
মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) ওই ট্রাইবু্যুনালের বিচারক ও জেলা জজ মো. হাফিজুর রহমান মামলাটি গ্রহণ করে আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেন।
মামলার আসামিরা হলেন- আমতলীর গুলিশাখালী এলাকার আবদুল মন্নানের ছেলে রাসেল এবং রাসেলের বন্ধু রাকিব।
মামলা সূত্রে জানা যায়, বাদীর ১৩ বছরের মেয়ে আমতলীর স্থানীয় একটি বালিকা বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীতে পড়াশোনা করে। দীর্ঘদিন ধরে রাসেল পথে-ঘাটে এবং স্কুলে যাওয়া-আসার সময় বাদীর মেয়েকে উত্ত্যক্ত করে আসছিলো। বাদী প্রতিবাদ করলে রাসেল ও তার বন্ধু বাদীকেও হুমকি দেন।
৬ এপ্রিল সকালে স্কুলে যাবার পথে বাড়ির সামনে রাস্তার পাশে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা রাসেল ও রাকিব বাদীর মেয়েকে ভয় দেখিয়ে মোটরসাইকেলে তুলে কুয়াকাটায় একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে যান। পরে হোটেল কক্ষে রাসেল ওই স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করেন। এ সময় রাকিব কক্ষের বাইরে পাহারা দিচ্ছিলেন। ধর্ষণ শেষে স্কুলছাত্রীকে সেই হোটেলে রেখে তারা পালিয়ে যান।
এ বিষয়ে বাদী জানান, আমার মেয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আমাকে খবর দেয়। আমি আত্মীয়-স্বজন নিয়ে মেয়েকে উদ্ধার করে সুস্থ করে ১২ এপ্রিল আমতলী থানায় মামলা করতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ মামলা নিয়ে টালবাহানা করতে থাকে। পরে আদালতে এসে মামলা করেছি।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, এ ব্যাপারে কেউ থানায় মামলা করতে আসেনি। আসলে অবশ্যই মামলা নিতাম।