স্টাফ রিপোর্টার
“বন ও জীবিকা: মানুষ এবং পৃথিবীকে টিকিয়ে রাখা” এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় পালিত হয়েছে বিশ্ব প্রকৃতি সংরক্ষণ দিবস।
বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে এনজিও সংগ্রাম’র পর্যবেক্ষণে সাসটেইনবল এন্টারপ্রাইজ প্রজেক্ট (এসইপি) এর অর্ন্তভূক্ত “বাংলাদেশের দক্ষিনাঞ্চলে পরিবেশবান্ধব উপায়ে নিরাপদ শুঁটকি উৎপাদনকারী উদ্যোক্তা তৈরি ও প্রসারের ব্যবস্থা গ্রহণ” উপ- প্রকল্পের অন্তর্ভূক্ত পরিবেশ ক্লাব, কুয়াকাটা শাখার উদ্যোগে বিশ্ব প্রকৃতি সংরক্ষণ দিবস-২০২২ উদযাপন করা হয়।
প্রকৃতি সংরক্ষণ দিবসকে কেন্দ্র করে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত সহ আশেপাশের এলাকা গুলোতে ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করা হয়েছে। একই সাথে এ বিষয়ের উপরে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বিশ্ব প্রকৃতি সংরক্ষণ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সংগ্রাম’র সিনিয়র পরিচালক (প্রোগ্রাম) মোঃ ইউসুফ।
এসময় সংগ্রাম এসইপি প্রকল্পের ফাইন্যান্স অফিসার মাহমুদুল হাসান, টেকনিক্যাল অফিসার রাজিব সরকার ও রিপোর্টিং এন্ড ডকুমেন্টেশন অফিসার সজল মিত্র ও কুয়াকাটা পরিবেশ ক্লাবের সদস্যবৃন্দ এবং এসইপি প্রকল্পের ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাগণ।
এসইপি প্রকল্পের পরিবেশ কর্মকর্তা মোঃ আরাফাত ইসলাম দিবসের তাৎপর্য সম্পর্কে বিস্তর আলোচনা করেন।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, প্রকৃতি সংরক্ষণের দায়িত্ব আমাদের সবার।তথ্য-বিজ্ঞানের এই যুগে আজ সর্বত্রই নগরায়নের ছোঁয়া। যার প্রভাবে পরিবর্তিত হচ্ছে আমাদের জীবনযাত্রার মান, বাড়ছে মানুষের নানামুখী চাহিদা। কিন্তু দুঃখের বিষয়, আমরা প্রতিনিয়ত জীবন-জীবিকার তাগিদে প্রকৃতি ধ্বংস করে চলছি। এতে স্বাভাবিকভাবেই বিশ্বজুড়ে প্রাকৃতিক দূর্যোগের হার বাড়ছে।

তিনি আরো বলেন, ইতোমধ্যেই পরিবেশ বিপর্যয়ের প্রভাবে অনেক বিরল প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। সময়মতো রোদ নেই, বৃষ্টি নেই। বর্তমান সময়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যা, প্রকৃতির উপর অত্যাচার, অবিচার ও যথাযথ সংরক্ষণ না নেওয়ার ফল। বনজঙ্গল নিধনের ফলে আমরা শুধু আমাদের সবুজ, সতেজ প্রকৃতিকে হারিয়ে ফেলছি না, হারিয়ে ফেলছি পৃথিবীতে আমাদের টিকে থাকার অস্তিত্বকে।
বিশ্ব প্রকৃতি সংরক্ষণ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় আমন্ত্রিত অতিথিরা তাদের বক্তব্যে বলেন, প্রশ্ন যখন নিজেদের অস্তিত্বের, সেক্ষেত্রে প্রকৃতি সংরক্ষণের দায়-দায়িত্ব কার উপর বার্তায়? সেক্ষেত্রে নিঃসন্দেহে প্রকৃতি সংরক্ষণের এই গুরু দায়িত্ব আমার, আপনার, সবার। এক্ষেত্রে প্রয়োজনে সরকারি, বেসরকারিভাবে ব্যাপক গবেষণা ও অনুসন্ধান চালাতে হবে। প্রকৃতি ও পরিবেশ নিয়ে সর্বস্তরের মানুষের উদাসীনতাগুলো উদ্যমে পরিণত হোক-এটাই হোক সবার প্রত্যাশা।