(মো: সানাউল্লাহ রিয়াদ)
একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান খাদিমুল বাশার জয়। বরগুনা সদর উপজলার বরগুনা পৌরসভার কলেজ রোডের বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: আবদুল মান্নান ও রওশন আরা মান্নান এর কনিষ্ঠ পুত্র খাদিমুল বাশার জয়। যার রন্ধ্রে রন্ধ্রে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ। যে ছেলেটি ছোট্ট বেলা থেকেই সেজেছেন বঙ্গবন্ধুর প্রতিচ্ছবিতে, তুলেছেন পাকিস্তানীর বিরুদ্ধে উঁচু করা আঙ্গুলের অঙ্কন। বরগুনার এই সূর্য সন্তান আজ বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সহ-সভাপতি (২) এর দায়িত্ব পালন করছেন।
খাদিমুল বাশার জয় বরগুনা জিলা স্কুল থেকে ২০০৯ সালে এস.এস.সি, ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ থেকে ২০১১ সালে এইচ.এস.সি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০১১-১২ সেশনে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ থেকে স্নাতক ও ২০১৫-১৬ সেশনে স্নাতকোত্তর অর্জন করেন। বর্তমানে জয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এম ফিল করছেন। তার গবেষণার বিষয় মুক্তিযোদ্ধাদের ভাষ্যে বরগুনা জেলায় মুক্তিযুদ্ধ।
খাদিমুল বাশার জয় রাজনৈতিক জীবনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ’র কর্মসংস্থান বিষয়ক উপ-সম্পাদক, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংগঠনিক দায়িত্ব পালন করেছেন। ইতোপূর্বে তিনি ২০১৫-১৮ সাল পর্যন্ত কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সহ-সম্পাদক, সাংগঠনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলা হিসেবে নোয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের দায়িত্ব পালন করেছে। ২০১৩-১৫ সালে স্যার এ.এফ. রহমান হল ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক এবং বরগুনা জিলা স্কুলে অধ্যয়নকালে স্কুল ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বরগুনা-১ আসনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন-২০১৮ এর বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। স্কুল জীবন থেকেই বিতর্ক, কবিতা আবৃত্তি, মঞ্চ নাটক, বক্তৃতা ও চিত্রাঙ্কনসহ বিভিন্নক্ষেত্রে মেধার স্বাক্ষর রেখে চলেছেন তরুণ সমাজের আইকন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের হার্টথ্রব খ্যাত, বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান খাদিমুল বাশার জয়।
এই খাদিমুল বাশার জয় যেমনি একজন বীর মুক্তযোদ্ধার সন্তান; তেমনি দুই বীর মুক্তযোদ্ধা চাচার ভাতিজা। “রক্তের পরে রক্ত বিছিয়ে প্রতিরোধ করি অন্যায়-বন্ধু তোমার সংগ্রাম হোক মুক্তিযুদ্ধের চেতনায়” এমন কবিতার পঙ্গক্তিকে ধারণ করেই এ দেশ ও দেশের মানুষের স্বাধীনতার কথা চিন্তা করে বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ যেভাবে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে; ঠিক তেমনি খাদিমুল বাশার জয়ের মতো সূর্য সন্তানরা আজ বিএনপি-জামাত এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে। যেমনি করে ২০০০ সালের ২৬ মার্চ বরগুনা স্টেডিয়াম মাঠে বঙ্গবন্ধুর সেই ঐতিহাসিক ভাষণের প্রতিচ্ছবি হয়ে হীরার ঝলক তুলেছিলেন; সেসময় তেমনি ২০১৮ সালের ৯ এপ্রিল রাজপথে জামাত-শিবির কর্তৃক পৈশাচিক নির্যাতনের শিকারে রক্ত ঝড়িয়েছে জয়। মনের মনিকোঠায় যেনো বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে লালন করে পথ চলেছেন দৃঢ় প্রত্যয়ে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পরে এবার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে এভাবেই পথ চলতে চান বঙ্গবন্ধুর তনয়া বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে।
লেখক : বার্তা-সম্পাদক, দৈনিক স্বাধীন বাণী।