স্টাফ রিপোর্টার
বরগুনা ও পটুয়াখালী জেলার ২৫ জন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের প্রমোটিং এগ্রিকালচারাল কমার্শিয়ালাইজেশন এন্ড এন্টারপ্রাইজ (পেস)’র আওতায় ক্ষুদ্র উদ্যোগে উৎপাদিত পণ্যের মানোন্নয়ন, ব্র্যান্ডিং এবং ই-কমার্স ভিত্তিক বিপণন বিষয়ক উপপ্রকল্পের মাধ্যমে অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।

পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এর সার্বিক সহযোগিতায় এবং সংগ্রাম (সংগঠিত গ্রামোন্নয়ন কর্মসূচী)’র বাস্তবায়নে শনিবার (২৪ জুন) বেলা ১১ টার দিকে বরগুনার শহীদ স্মৃতি সড়কে সংগ্রাম প্রধান কার্যালয়ের হলরুমে এ অর্থ সহায়তার চেক হস্তান্তর করা হয়।

বরগুনা জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর’র উপ-পরিচালক মেহেরুন নাহার মুন্নি প্রধান অতিথি হিসেবে ২৫ জন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের হাতে সহায়তা হিসেবে চেক ও নগদ টাকা তুলে দেন।
এ উদ্যোক্তাদের মধ্যে ট্রেডভিত্তিক বিভিন্ন অংকের চেক ও নগদ অর্থ প্রদান করা হয়। এর মধ্যে ২৫ হাজার করে ৭জন, ১৪ হাজার করে ৪জন ও ১০ হাজার করে ১৪ জনকে মোট ৩ লাখ ৬৯ হাজার টাকার চেক ও নগদ অর্থ প্রদান করা হয়।

সংগ্রাম’র পরিচালক (প্রশিক্ষণ) মোঃ মাসউদ শিকদার’র সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- সংগ্রাম’র প্রতিষ্ঠাতা চৌধূরী মোহাম্মদ মাসুম, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়’র বরগুনা তথ্য সেবা কর্মকর্তা সাবিনা ইয়াসমিন, জাতীয় মহিলা সংস্থা বরগুনার প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা রাসেল।

অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সংগ্রাম’র পরিচালক (ঋণ) মোঃ হুমায়ুন কবির, সহকারী পরিচালক এ এন এম আশরাফ উদ্দিন, জোনাল ম্যানেজার ফয়সাল আহমদ, আইসিটি প্রজেক্ট ম্যানেজার মোঃ আল আমিন।
ক্ষুদ্র এ সকল উদ্যোক্তাদের উদ্যোগগুলোকে আরো সাফল্যমন্ডিত করার লক্ষ্যে এ অর্থ প্রদান করা হয়।
উদ্যোক্তাদের মধ্য থেকে ১১ জনের ক্ষুদ্র উদ্যোগের ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়। এ সময় ওই সকল উদ্যোক্তাগণ তাদের উঠে আসার সংক্ষিপ্ত গল্প তুলে ধরেন।

এ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মেহেরুন নাহার মুন্নি তার বক্তৃতায় বলেন- নারী উদ্যোক্তাদের কারণেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। চাকরি নয়, উদ্যোক্তা সৃষ্টি করতে হবে; প্রধানমন্ত্রীর এমন কথাকে বাস্তবায়ন করতে হলে নারীদের এগিয়ে আসতে হবে। কেবল পুরুষ নয়, নারীরা স্মার্ট বাংলাদেশ ও অর্থনৈতিক চাকা ঘোরাতে সম্মুখভাগে কাজ করে যাচ্ছেন। এ সময় তিনি সংগ্রামকে উদ্যোক্তা মেলার আয়োজন করার অনুরোধ জানান। যে মেলা থেকে বরগুনার ক্ষুদ্র এই উদ্যোক্তাদের উৎপাদিত পণ্য সম্পর্কে সকলের কাছে পরিচিতি লাভ করবে। প্রচার পাবে বরগুনার নারীদের পাশাপাশি পুরুষদের তৈরি পণ্যের সৌন্দর্যতা। এতে উৎপাদিত পণ্যের বিক্রির একটি জায়গা তৈরি হবে। নারীরা তাদের নিজস্ব চেষ্টায় অনেক দূর এগিয়ে গেছে, আর আমরা সবাই যদি তাদের পাশে থাকি, তাহলে তারা আরো সফলভাবে এগিয়ে যেতে সক্ষম হবে।