বৈশাখ আর ভাষা
বৈশাখ আমার বাংলার শুরু
বৈশাখে হয় সাজ,
বৈশাখ মানে ঘুরে বেড়ানো
বৈশাখ নাকি আজ।
বৈশাখ মানে নারীর পড়নে
রং বেরঙের শাড়ি,
বৈশাখ মানে মনের মাধুরী
ভেঙে সকল আড়ি।
বৈশাখ মানে পথে পথে দেখো
আঁকা কত আলপনা,
বৈশাখ মানে বাঁশির শব্দে
মাঠে মাঠে জল্পনা।
বৈশাখ মানে পুরুষের পড়নে
বাহারী রঙের জামা,
বৈশাখ মানে মঞ্চ দোলানো
নৃত্য-গানে হামামা।
বৈশাখ এসেছে আকবর থেকে
ছিলেন মুঘল সম্রাট,
বৈশাখে হয় শোভাযাত্রা
বেঁধে আঁটঘাট।
মন্ডা, মিঠাই, চরকি, বেলুন
ভেঁপু, বাঁশি ভাজাপোড়া,
আমদানি সব হরেক বাহার
ছোট-বড় চরবে এবার ঘোড়া।
রবীন্দ্র আর নজরুল গীতি
হয় যে বটতলায়,
পিছনের সব দুঃখ গ্লানি
সবটাই যে ভুলায়।
রাজ জ্যোতিষী, পন্ডিত আমির
করেন গবেষণা,
বাংলা সনের শুরুটা তাই
কেউ তা ভুলবে না।
মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র বাড়ালেন
পুঞ্জিকারি গতি,
সেই থেকে আজ অবধি
চলছে সকল যতি।
১৮৬৯ এ শোভাযাত্রার শুরু
ছায়ানটের বটতলার গান,
সেই সুরেরি মূর্ছনা আজ
ধরেছে সুদূর তান।
বছরগুলো ভালো কাটুক
এমন করি আশা,
বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়ে থাকুক
আমার বাংলা ভাষা।