জাহিদুল ইসলাম মেহেদী
বরগুনার পৌর এলাকায় নানার নির্মানাধীন ভবনের দেয়ালে চাপা পড়ে আতিকুর রহমান (৫ ) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তবে শিশুটির বাবার পরিবারের দাবি পরিকল্পিত ভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
বুধবার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বরগুনা পৌরশহরের ধানসিঁড়ি রোড এলাকায় এঘটনা ঘটে। মৃত আতিকুর রহমান বরগুনা সদর উপজেলার গৌরিচন্না ইউনিয়নের খাজুরতলা গ্রামের সাদিকুর রহমানের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, সন্ধায় আতিকুরকে হাত-মুখ ধোয়াতে যায় তার কারিমা। এসময় আতিকুর নানার নির্মানাধীন ভবনের একটি দেয়ালে উঠতে গেলে দেয়ালটি ভেঙে তার গায়ে পরে। তাকে তাৎক্ষণিক উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে তার মা। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
তবে নিহতের দাদাবাড়ির স্বজনরা জানায়, কয়েকবছর আগে বিয়ে ধানসিঁড়ি রোড এলাকার শহিদুল ইসলামের মেয়ে কারিমা আক্তারকে বিয়ে করে সাদিকুর৷ তাদের ঘরে আতিকুর জন্ম নেয়। এরপর গত ৭ মাস আগে সাদিকুরের বাড়ি থেকে চলে আসে কারিমা৷ এ কয়মাস আতিকুর তার বাবার বাড়িতে থাকত। পরে গত সপ্তাহখানেক আগে কারিমা সাদিকুরের বাড়িতে গিয়ে ৩-৪ দিন থাকে। এরপর হঠাৎ কাউকে না জানিয়ে শিশু আতিকুরকে নিয়ে বাবার বাড়িতে চলে আসে। এরপর আজ সন্ধ্যায় কেউ ফোন করে আতিকুরের বাবাকে জানায় তার ছেলে ছাদ থেকে পরে মারা গেছে।
নিহত শিশু আতিকুরের দাদা রফিকুল খান অভিযোগ করে বলেন, কোরবানির ঈদে আমার পুত্রবধূ হঠাৎ বাবার বাড়ি চলে আসে। এরপর পর থেকে আর আমাদের বাড়িতে যায়নি। পরে কয়েকদিন আগে আমাদের বাড়িতে এসে কয়েকদিন থেকে নাতিকে নিয়ে আবার চলে আসে। এরপর আজ সন্ধ্যায় কে যেন ফোন দিয়ে আমার ছেলেকে বলে আতিকুর ছাদ থেকে পরে মারা গেছে৷ হাসপাতালে এসে শুনি দেয়াল চাপায় মারা গেছে। আমার পুত্রবধূ নাতিকে ষড়যন্ত্রকরে হত্যা করেছে। আমরা এঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচারের দাবি জানাই৷
নিহতের মা কারিমা আক্তার বলেন, আমার ছেলেকে সন্ধ্যায় হাত মুখ দোয়ানোর জন্য ডেকে আনি৷ তখন সে নির্মানাধীন একটা দেয়ালে উঠতে গেলে সেটি তার গায়ে ধ্বসে পরে। আমি সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাই আমার ছেলেকে। হাসপাতালের ডাক্তার জানায় আমার ছেলে মারা গেছে। আমি এখন কাকে নিয়ে থাকব। আহারে আমার বাবা।
এবিষয়ে বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আহম্মেদ বলেন, খবর পেয়ে হাসপাতালে পুলিশ গিয়ে মরদেহের সুরতহাল সম্পন্ন করেছে। তবে এবিষেয় এখন পর্যন্ত কোন পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পাইনি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।