হাফেজ মুফতি জাহিদুল ইসলাম বেলাল
জিলহজের ৯-১৩ তারিখ পর্যন্ত ৫ দিন ২৩ ওয়াক্ত ফরজ নামের পর তাকবিরে তাশরিক ১ বার পড়া ওয়াজিব বা আবশ্যক আমল।
এ বছর আগামী ৯ জুলাই শনিবার ফজর নামাজের পর থেকে তাকবিরে তাশরিক পড়া শুরু করতে হবে। ১৩ জুলাই বুধবার আসরের নামাজ পর্যন্ত এ তাকবির পড়তে হবে। এটা ফরয নামাযের পর প্রত্যেক বালেগ পুরুষ, নারী, মুকিম, মুসাফির,জামাতের সঙ্গে নামায পড়ুক বা একাকি পড়ুক— প্রত্যেককেই একবার করে পাঠ করতে হবে।জিলহজ মাসের এ পাঁচ দিন তাকবিরে তাশরিক পড়া ওয়াজিব।
এছাড়াও প্রথম দশক জুড়ে বেশি বেশি তাকবির তাহলিল পড়ার দিকনির্দেশনা দিয়েছেন স্বয়ং বিশ্বনবি।
হাদিসে এসেছে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, জিলহজ মাসের প্রথম দশকে তোমরা বেশি বেশি তাকবির (আল্লাহু আকবার), তাহলিল (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ) ও তাহমিদ (আলহামদুলিল্লাহ) বলবে।(মুসনাদে আহমাদ)।
# তাকবির সম্পর্কে কিছু মাসআলা
১. ইমাম তাকবির বলতে ভুলে গেলে মুক্তাদির তাকবির বলা ওয়াজিব।
২. পুরুষেরা তাকবির উচ্চ স্বরে আর নারীরা অনুচ্চস্বরে বলবে। পুরুষ উচ্চস্বরে না পড়ে আস্তে আস্তে পড়লে ওয়াজিব আদায় হবে না।
৩. মাসবুক তার নামায আদায় করে তাকবির বলবে। ৪. যদি মুসল্লি ফরয নামাযের পর তাকবির বলতে ভুলে যায় এবং কিছু কাজ করে ফেলে যার দ্বারা নামায নষ্ট হয়ে যায় (যেমন মসজিদ থেকে বের হয়ে যাওয়া, অথবা ভুলে বা ইচ্ছায় কথা বলা অথবা অজু ভঙ্গ হলে তার উপর থেকে তাকবির বলা রহিত হয়ে যাবে। (ফাতাওয়া শামী ১ম খণ্ড, ৭৮৬ পৃষ্ঠা)
লেখকঃ খতিব ও ইমাম, বরগুনা কালেক্টেরেট (ডিসি কোর্ট) জামে মসজিদ, বরগুনা।