আবুল হাসান
একাধিক বিয়ে করা নতুন কিছু নয়। তবে বিয়ের নামে অর্থ আত্মসাত করে টাকা পয়সা নিয়ে পালানো অনেকটাই নতুন। এমনই রেকর্ড গড়েছেন বরগুনার তালতলী উপজেলার ৩নং কড়ইবাড়িয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মো.তইয়েব আলীর ছেলে আল আমিন।
জানা গেছে, ২০১৪ সাথে ফরিদপুরের সুমি আক্তার নামের (১৮) একটি মেয়েকে প্রথম বিয়ে করেন আল-আমিন। সুমি গর্ভবতী অবস্থায় তাকে ফেলে রেখে টাকা পয়সা লুট করে পালিয়ে পাবনা সদরের নার্গিস নামের একটি মেয়েকে ২য় বিয়ে করেন। সেখানেও একই ঘটনা ঘটিয়ে ২০২১ সনে বি-বাড়ীয়া জেলার নবীনগর উপজেলার বিটঘর ইউপির দুরইল এলাকার আ.কাদেরের মেয়ে শারমিন সুলতানাকে বিয়ে করেন।
গত বছরের জুলাই মাসে তার বাসা থেকে টাকা সহ দামিয় আসবাবপত্র নিয়ে পালিয়ে দেশের বাড়িতে চলে আসে আল আমিন। এর কিছু দিন পরে বরগুনার হেউলিবুনিয়া এলাকার আলাউদ্দীন মোল্লার মেয়ে হাসি আক্তারকে বিয়ে করে আল আমিন। অন্য দিকে ৩য় স্ত্রী শারমিন স্বামী আল আমীন পালানোর পরপরই যৌতুকের মামলা করেন এবং গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি হলে আল-আমিন বরগুনার শশুর বাড়িতে আত্মগোপন করে থাকেন। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে বাড়িতে আসার সাথে সাথে আল-আমিনকে আটক করে তালতলী থানা পুলিশ।
এবিষয়ে তালতলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, আল-আমিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা ছিল এবং আল-আমিন পলাতক ছিলো।
গতকাল গোপনে বাড়িতে আসলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এসআই জাকিরের নেতৃত্বে এসআই এনায়েত তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসে। বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হবে।