হাফেজ মুফতি জাহিদুল ইসলাম বেলাল:
বছর ঘুরে আবারও এলো পবিত্র মাহে রমজান। হিজরি বর্ষের নবম মাস হল রমজান। মুসলিম উম্মাহর কাছে এ মাসের গুরুত্ব অপরিসীম। রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতে বেষ্টিত এ মাসকে ইবাদতের বসন্তমাসও বলা হয়।
রোজার গুরুত্ব বোঝাতে গিয়ে পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন : হে মুমিনগণ! তোমাদের উপর সিয়াম ফরজ করা হয়েছে, যেমনি ফরজ করা হয়েছে তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপ— যাতে তোমরা মুত্তাকি হতে পার। (সূরা বাকারা, আয়াত ১৮৩)। রমজান মাস, এতে নাযিল করা হয়েছে আল-কুরআন।
রমযান আরবি ভাষায়: রমদ্বান হল ইসলামিক বর্ষপঞ্জিকা অনুসারে নবম মাস, যে মাসে বিশ্বব্যাপী মুসলিমগণ উপবাসেরর মাধ্যমে সাওম পালন করে থাকে। রমজান মাসে রোজাপালন ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের মধ্যে তৃতীয়তম। রমজান মাস চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে। এমাস ২৯ অথবা ৩০ দিনে হয়ে থাকে।
‘সাওম’-এর শাব্দিক অর্থ বিরত থাকা। ইসলামী শরীয়তে পানাহার ও সহবাস থেকে বিরত থাকার নাম ‘সাওম’। সাওম-এর বহুবচন হচ্ছে সিয়াম, যাকে আমরা রোযা বলে থাকি। এ মাসে প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক মুসলিম ব্যক্তির উপর সাওম পালন ফরয, কিন্তু অসুস্থ, গর্ভবতী, রোগী, ঋতুবর্তী নারীদের ক্ষেত্রে তা শিথিল করা হয়েছে।
রোজা বা সাওম হল সুবহে সাদিক থেকে সুর্যাস্ত পর্যন্ত সকল প্রকার পানাহার, পঞ্চইন্দ্রিয়ের দ্বারা গুনাহের কাজ এবং (স্বামী-স্ত্রীর ক্ষেত্রে) যৌনসংগম থেকে বিরত থাকা।
লেখক : শিক্ষক, বরগুনা কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজ।