তালতলী প্রতিনিধি
বরগুনার তালতলীতে তথ্য গোপন করে নিজের ও স্ত্রীর নাম একাধিকবার পরিবর্তন করে সরকারি ও বে-সরকারি নানা সুবিধা ভোগ করে আসছেন উপজেলার কড়ইবাড়িয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের নব নির্বাচিত ইউপি সদস্য ইসাহাক মাঝি। তিনি উত্তর ঝাড়াখালী এলাকার মৃত. কাদের মাঝির ছেলে।
জানা গেছে, তথ্য গোপন ও জালিয়াতির মধ্য দিয়ে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হতে চলছেন তিনি। নামে বে-নামে ১ একর করে ৮টি সরকারি খাস জমির বন্দোবস্ত নিয়ে বসে আছেন তিনি। কড়ইবাড়িয়ার শহিদুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির নামে ভুয়া বন্দোবস্তীয় নিয়ে সে জমির বন্দোবস্তীয় মালিকানা দাবি করেন নিজেকে। অথচ এই নামে সারা ইউপিতে কোনো লোক খুজে পাওয়া যায় নি।
অন্যদিকে স্ত্রীর নাম কোথাও কোথাও মমতাজ, আবার কোথাও কোথাও জাহানারা ব্যবহার করে সেখান থেকেও নানা সুবিধা ভোগ করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সরকারি খাস জমি ভূমিহীনদের জন্য বরাদ্ধ থাকলেও নিজের সকল তথ্য গোপনের মাধ্যমে সে সমস্ত জমির বন্দোবস্তীয় মালিক হচ্ছেন।
নির্বাচন অফিস সুত্রে জানা গেছে, ২০০৮ সালে ৯ মে মোঃ এছাহাক মাঝি (Md. Echhahak Mazi) পিতা মৃত. আঃ কাদের মাঝি নামের একটি জাতীয় পরিচয় পত্র তৈরী করেন। যেখানে তার জন্ম দেখানো হয়েছিলো ৭ জানুয়ারী ১৯৬৬। পরবর্তীতে ৮ম শ্রেণী পাশ দাবি করে ভুয়া প্রত্যায়নের মাধ্যমে মোঃ ইসাহাক মাঝি (Esahak Mazi) পিতা আঃ কাদের মাঝি নামে সেটিকে পরিবর্তন করে। সেখানে তার বয়স দেখানো হয়েছে ৭ জানুয়ারী ১৯৫৫, সে অনুযায়ী তিনি তার আপন বড় ভাইয়ের থেকে ৭ বছরের জ্যেষ্ঠ এবং মায়ের ১৭ বছরের ছোট। অথচ তিনি তার মায়ের ৪র্থ নাম্বার ছেলে।
অন্যদিকে, ইসাহাক মাঝির দাবি তিনি ১৯৬৯ সালে আলির বন্দর এমএম মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৮ম শ্রেণী পাশ করেন, অথচ ওই প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক জামাল হোসেন এ প্রতিবেদককে ১৯৭২ সালে তার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপিত হয়েছে তাও আবার আলির বন্দর এএম মাধ্যমিক বিদ্যালয় নামে এই মর্মে ১টি প্রত্যয়ন দেয়। প্রতিষ্ঠান স্থাপিতের ৩ বছর আগে সে কিভাবে ৮ম পাশ করলো এনিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
এবিষয়ে ইসাহাক মাঝির সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে কিংবা ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়েও তার দেখা মিলেনি।
এবিষয়ে কড়ইবাড়িয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো.জালাল গাজি জানান, অনিয়মের মধ্য দিয়েই দিন কাটছে ইসাহাক মাঝির। আমরা বুঝতে পারছিনা একটি মানুষ কিভাবে এতো গুলো জালিয়াতির মধ্যে নিজেকে অটল রাখে। তার সমস্ত জালিয়াতির তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।