বরগুনায় ড্রেজারের পাইপ ভাঙার অবিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার
বরগুনা সদর উপজেলার ৯নং এম. বালিয়াতলী ইউনিয়নে ৩নং ওয়ার্ডের চৌমুনী মাদারতলী গ্রামে গভীর রাতে ৩০ থেকে ৩৫ টি ড্রেজারের পাইপ ভাঙার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার গভীর রাতে।

জানা গেছে, আলিফ ড্রেজারের মালিকের কাছ থেকে লিস. নিয়ে ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সাইদুর রহমান দীর্ঘদিন যাবত ড্রেজারের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। রাতের আঁধারে কে বা কারা ড্রেজারের পাইপগুলো ভেঙে ফেলেছে। তা এখনো জানা যায়নি। এছাড়াও কয়েকদিন আগে বরগুনা পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্র বরইতলা নামক স্থানে ৫০ টি পাইপে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। ড্রেজার ব্যবসায়িরা মনে করছেন তারাই হয়তো একাজটা করতে পারে।

ইউপি সদস্য সাইদুর রহমান বলেন, গভীর রাতে ড্রেজারের ৩০ থেকে ৩৫ টি পাইপের মাঝ খান থেকে ভেঙে ফেলেছে, যার মূল্য ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা। কে বা কারা এই পাইপ ভেঙেছে তা আমার সঠিক জানা নেই। দীর্ঘ দিন যাবত আলিফ ড্রেজারের মালিকের কাছ থেকে লিস নিয়ে অল্প লাভে এই ব্যবসা করে আসছি আমি। অনেকে বেশি রেডে ব্যবসা করছে। এখানে একটি সিন্ডিকেট রয়েছে তাদের সাথে তাল মিলিয়ে কেনো ব্যবসা করি না, সে কারনে এটার করতে পারে বলে আমার ধারণা। আমি একজন ইউপি সদস্য হিসাবে আমার ওয়ার্ডের মানুষের সবসময় পাশে থাকার চেষ্টা করি। এটা অনেকে ভালো চেখে দেখেনা। তাই আমার এতো বড় ক্ষতি করেছে তারা । আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।

এলাকার বালু ব্যবসায়ী আল আমিন বলেন, আমি এই চাচার কাছ থেকে কম রেটে বালু কিনে খুচরা বিক্রি করছি। যারা এমন ঘটনা ঘটিয়েছে সত্যি দুঃখজনক। এমন ভাবে পাইপগুলো ভেঙে দিয়েছে যা সারানোর মত কোন সুযোগ নেই। এই ধরনের মানুষের কঠিন বিচার হওয়া উচিত।

এব্যপারে, এম বালিয়াতলী ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান এডভোকেট নাজমুল ইসলাম নাসির বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। তবে কারা এমন ঘটনা ঘটিয়েছে তথ্য উদঘাটনের চলছে। যারাই এই কাজ করেছে কোন রকমই ঠিক করেনি। এদের কঠিন শাস্তি হওয়া উচিত।

এ ব্যাপারে বরগুনা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আলী আহমেদ বলেন, আমার কাছে এখনো কোন অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখবো।

Spread the love
       
 
 
    

Leave a Reply

Your email address will not be published.