স্টাফ রিপোর্টার
পুঁথিপাঠ, লোকজ সঙ্গীত ও বাশিঁর সূরের মূর্ছনায় কবিতাবৃত্তির মধ্য দিয়ে বরগুনায় মাসব্যাপি শিশু আনন্দ মেলা শুরু হয়েছে।
বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাত ৮ টার দিকে সার্কিট হাউস মাঠে শিশু আনন্দমেলার শুভ উদ্বোধন করেন, বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শমভু।
করোনা অতিক্রান্ত শিশুদের বিনোদন ও বরগুনা প্রেসক্লাবের চতুর্থ তলায় অডিটোরিয়াম নির্মাণের লক্ষে এ মেলার আয়োজন করেছে ঐতিহ্যবাহি বরগুনা প্রেসক্লাব।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, বরগুনা জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) এস এম তারেক রহমান, পৌর প্যানেল মেয়র রইসুল আলম রিপন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম, দৈনিক বিপ্লবী বাংলাদেশের প্রকাশক ও সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এম নূরুল আলম ফরিদ, দৈনিক আজকের বার্তার সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার কাজী জিয়া উদ্দিন বাবু, বরগুনা জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সাধারণ সম্পাদক এ্যাড, মনিরুজ্জামান, বরগুনা প্রেসক্লাব এর সদস্য, সহযোগী সদস্য ও সুহৃদ সদস্যবৃন্দ। এ সময় সার্কিট হাউজ মেলা মাঠ কানায় কানায় বরগুনার মানুষের ঢলে পরিপূর্ণ হয়।
বরগুনা প্রেসক্লাবের সভাপতি অ্যাডভোকেট সঞ্জীব কুমার দাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বরগুনা জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক-সামাজিক-সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বসহ বরগুনা জেলায় কর্মরত গণমাধ্যম কর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।
বরগুনা প্রেসক্লাবের সভাপতি অ্যাডভোকেট সঞ্জিব দাস বলেন, বরগুনায় শিশুদের বিনোদনের জন্য কোনো পার্ক নেই। করোনার মধ্যে প্রায় তিনবছর শিশুরা স্কুলেও যেতে পারেনি। আমরা করোনা অতিক্রান্ত শিশুদের বিনোদনের জন্য এ মেলার আয়োজন করেছি। এর পাশাপাশি মেলার আয়ের টাকায় বরগুনা প্রেসক্লাবের চতুর্থ তলায় বঙ্গবন্ধু অডিটোরিয়াম নির্মান করা হবে। আমরা জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সার্বিক সহায়তায় মেলাটি আয়োজন করেছি।
বরগুনা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সোহেল হাফিজ বলেন, শিশুদের বিনোদনের পাশাপাশি মাসব্যাপি আমাদের আয়োজনে মূলত লোকজ সংস্কৃতি তুলে ধরা হবে। বাউল, জারি সারি, পালাগান, যাদু, কৌতুক অভিনয়, মঞ্চ নাটকসহ হারিয়ে যাওয়া নানা ধরণের লোকজ সংস্কৃতি তুলে ধরবো। আমরা আশা করি ভিন্নধর্মী এমন মেলা সবার মাঝে সাড়া ফেলবে।
এ সময় সাংবাদিক রুদ্র রুহানের লেখা ব্র্যান্ডিং গানে নৃত্য পরিবেশনের পাশাপাশি শিশুদের বিনোদনের জন্য জাদু ও বিভিন্ন কণ্ঠরূপ দান করে অভিনয় করা হয়।
মেলায় ইতোমধ্যেই নতুন প্রজন্মের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ছড়িয়ে দিতে অস্থায়ী ভিত্তিতে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি জাদুঘর স্থাপন করা হয়েছে।