পাউবো প্রকৌশলীর কথিত শ্যালকের বিরুদ্ধে ঠিকাদারদের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার

বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম পান্নার কথিত শ্যালক পরিচয়ে ও অবৈধ অনৈতিক উপায়ে বিভিন্ন ঠিকাদারি কাজ হাতিয়ে নেওয়া সহ একাধিক অভিযোগ উঠেছে ইভান নামের এক ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। স্থানীয় একাধিক ঠিকাদার এ অভিযোগ তুলেছেন।

বরগুনার স্থানীয় ঠিকাদার মো. মাঈনুদ্দিন আসাদ অভিযোগ করে বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিভিন্ন দপ্তরের টেন্ডার প্রক্রিয়া পটুয়াখালীর ইভান বাটপারের দুরবৃত্তায়নের খপ্পরে আটকা পড়েছে। বিভিন্ন দপ্তরের প্রায় মাটির কাজ ও অন্যান্য লাভজনক কাজের কার্জাদেশ তার নিরঙ্কুশ নিয়ন্ত্রনে। তার ব্যবহৃত দুটি লাইসেন্স মেসার্স আবুল কালাম আজাদ এবং মেসার্স মিজানুল আলমের নামে পাবার প্রক্রিয়া হিসাবে তিনি যে অপকর্মের আশ্রয় নিয়েছেন তা নিয়ে ভয়াবহ চঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

আরেক ঠিকাদার মো. অলিউল ইসলাম বলেন, টেন্ডারবাজির মাধ্যমে অধিকাংশ কাজ বাগানোর উদ্দেশ্যে ইভান তার বন্ধু প্রতীম নির্বাহী প্রকৌশলীগনের থেকে ৩০০ এর অধিক ভুয়া সনদ সংগ্রহ করেছে। ক্ষেত্রবিশেষে দপ্তরের শাখা কর্মকর্তা, ক্যাশিয়ার ও অন্য কোন স্টাফকে ম্যানেজ করে প্রকৌশলীগনের স্বাক্ষর কম্পিউটার সফট কপিতে বসিয়ে প্রিন্টিংয়ের মাধ্যমে ভুয়া সনদ সংগ্রহ করে থাকেন। এছাড়া নিজের এডিটিং করা ভুয়া সনদ বন্ধুপ্রতীম নির্বাহী প্রকৌশলী দ্বারা যথার্থতা যাচাই করে নেন।

তিনি আরও বলেন, এসকল অপকর্ম করে দরপত্র মূল্যায়নে সবচেয়ে অধিক নম্বর নিয়ে বেশিভাগ কাজের কার্জাদেশ তার দুইটি লাইসেন্সের নামে সংগ্রহ করে ওই কাজ অন্যান্য ঠিকাদারের কাছে চড়া মূল্যে বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেন। কাজ বাস্তবায়ন শেষে ঠিকাদারগন বিলের চেক নিয়ে পাওনা সংগ্রহ করতে গেলে ভুরি ভুরি খাতের ভুয়া অজুহাত দেখিয়ে এত পরিমান কর্তন করে রাখে যে মূল কাজ বাস্তবায়নকারি ঠিকাদারের পথে বসার উপক্রম হয়।

স্থানীয় ঠিকাদার আবদুল্লাহ আল মুসা বলেন, দুটি ব্যাংকের পটুয়াখালী শাখার ইজিপি আইডি হ্যাক করে অসংখ্য ভুয়া ব্যাংক গ্যারান্টি দাখিল করে জালিয়াতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে ব্যাংক দুটিকে দেউলিয়া বানানোর উপক্রম করার গুঞ্জন রয়েছে ইভানের বিরুদ্ধে। এক ব্যাংক ম্যানেজার ফেরারী আসামির মতো পালিয়ে বেরাচ্ছেন এবং আরেক ব্যাংকের ম্যানেজার বরখাস্ত হয়েছেন বলে জেনেছি। কিন্তু কোন অদৃশ্য শক্তির বলে তার বিরুদ্ধে এখনো ব্যাংক জালিয়াতির মামলা হয়নি তা অজানা। ফলে বিভিন্ন ঠিকাদারসহ সাধারণ জনগন এই মুহূর্তে ওই দুই লাইসেন্স এবং ইভানকে সকল সরকারী দপ্তরে অবাঞ্চিত ঘোষণা করার জোড় দাবী জানাই।

এবিষয়ে ঠিকাদার ইভানের মুঠোফোন নম্বরে কল দিলে তা বন্ধ পাওয়া গেছে।
বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম পান্না জানিয়েছেন, ইভান নামের তার কোন শ্যালক নেই। এ ব্যাপারে তিনি খোঁজ নেবেন।

Spread the love
       
 
 
    

Leave a Reply

Your email address will not be published.