স্টাফ রিপোর্টার
বরগুনার পাথরঘাটায় গভীর সমুদ্রে চলাচলকারী ট্রলার-এর নিরাপত্তা ও মৎস্য এলাকা নির্ধারণে আধুনিক যন্ত্র সংযোজনের লক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সংগ্রাম’র আয়োজনে রোববার (১৯ মার্চ) সন্ধ্যা ৭ টার দিকে পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে আলোচনা করেন, পাথরঘাটা উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার অপু।
প্রধান আলোচক হিসেবে ভিডিও ডকুমেন্টরির মাধ্যমে গভীর সমুদ্রে চলাচলকারী ট্রলার-এর নিরাপত্তা ও মৎস্য এলাকা নির্ধারণে আধুনিক যন্ত্র ব্যবহার এর উপকারিতা নিয়ে আলোচনা করেন সাবেক নৌ কমান্ডার খন্দকার ইলিয়াস কাঞ্চন।
আলোচনা সভায় সংগ্রাম’র প্রতিষ্ঠাতা চৌধূরী মোহাম্মদ মাসুম এর সভাপতিত্বে ও পরিচালক (প্রশিক্ষণ) মো. মাসউদ সিকদার’র সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা পরিষদ সদস্য মো: এনামুল হোসেন, ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধূরী, বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির কেন্দ্রীয় পরিচালক আমিনুর রহমান, পাথরঘাটা প্রেসক্লাব’র সাধারণ সম্পাদক আমিন সোহেল।
আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে কথা বলেন, সাংবাদিক ইমাম হোসেন নাহিদ, ট্রলার মালিক দুলাল হোসেন, ট্রলার মালিক ও ইউপি সদস্য ছগির হোসেন।
এ আলোচনা সভায় ৯৩ জন ট্রলার মালিক ও মাঝি উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও সরকারি-বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তা, সাংবাদিক, ডগ মালিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান আলোচক তার আলোচনায় অধ্যাধুনিক যন্ত্রের ব্যবহার ও উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, এ যন্ত্রের মাধ্যমে খুব সহযেই সমুদ্রে মাছের ঝাঁকের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে, সহজে ও নিরাপদে যে কোন সময় সমুদ্রে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যেতে, কোথায় পানির গভীরতা কত, কোথায় চর বা ডুবন্ত জাহাজ আছে, তাও সহজেই বুজতে পারা যাবে। বর্তমানে সমুদ্রে কোন জায়গায় অবস্থান করছে তা ইলেকট্রনিক চার্টে সরাসরি দেখতে পারবেন। জলদস্যুর কবলে পড়লে বা অন্য কোন বিপদে পড়লে অথবা যে কোন প্রয়োজনে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাংলাদেশ নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড অথবা যে কোন বাণিজ্যিক জাহাজ বা অন্য কোন বোটের সাথে অতি সহজে যোগাযোগ করতে পারবে। এতে করে কমবে জ্বালানি তেলসহ অন্যান্য খরচ। বাঁচবে সময়, বাঁচবে ট্রলার মাঝি, ধরবে অধিক পরিমানে মাছ, যা বিক্রি করে অর্থনৈতিক চালিকাশক্তি বৃদ্ধি পাবে দেশের মৎস্যজীবীদের।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, মৎস্যজীবীরা বর্তমানে সমুদ্র থেকে যে পরিমান মাছ আহরণ করতে সক্ষম হন; তা খরচের তুলনায় খুবই সামান্য। দক্ষিণাঞ্চলের ট্রলারগুলোতে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার না করায় বিভিন্ন ধরণের সমস্যার সম্মুখিন হচ্ছে ট্রলার মাঝিরা। এ ধরণের উন্নতি প্রযুক্তি ট্রলারগুলোতে সংজোযন করলে কম সময়ে, কম খরচে অধিক পরিমান মাছ আহরণের মাধ্যমে একদিকে তাদের আর্থিক ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবে, অন্যদিকে দেশের মৎস্য চাহিদা মেটাতে পারবে।