আসাদুল হক সবুজ
বরগুনার পাথারঘাটায় ধর্ষণ মামলায় আসামী জামিনের পর মামলার বাদীকে হত্যা, গুমসহ নানা ধরনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আসামীর বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে পাথরঘাটা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও করেছেন ভুক্তভোগী ওই নারী।
অভিযুক্ত মিজান তালুকদার জেলার পাথরঘাটা উপজেলার কাঠালতলী ইউনিয়নের কালিপুর, কালিবাড়ি এলাকার মৃত হাকিম তালুকদারের ছেলে।
ভুক্তভোগী ওই নারী ২১ মার্চ ২০২২ তারিখের পাথরঘাটা থানার ৯১৯ নং সাধারণ ডায়রীতে উল্লেখ করেন, গত ২৮জুন ২০২১ তারিখের পাথরঘাটা থানার ১৭নং মামলা (ধারাঃ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) তৎসহ দণ্ডবিধি ৩১৩) এর একমাত্র আসামী মিজান তালুকদার ভুক্তভোগী ও তার আইনজীবীর অগোচরে চলতি বছরের মার্চ মাসের ১০ তারিখ অভিযুক্ত মিজান তার নিজের সৃষ্টি করা কাগজপত্র দিয়ে আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে তার (মিজান তালুকদার) বাড়িতে গিয়ে মিষ্টি বিতরণ করে।
পরে ২০২২ সালের ২০ মার্চ সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মিনিটের সময় অভিযুক্ত মিজান তালুকদার তার সাথে আরো ৮/৯জন লোক নিয়ে কাঠালতলী ইউনিয়নের কালিপুর(কালিবাড়ি) গ্রামের ভুক্তভোগী ওই নারীর সামনে রাস্তার উপরে বসে ভুক্তভোগী ওই নারীকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে এবং আরো বলে যে, আগামী ০৭ (সাত) দিনের মধ্যে মামলা তুলে না নিলে ভুক্তভোগী ওই নারীর ঘর দরজায় আগুনে পোড়ানোসহ, তার ছেলেদের গুম করার ও তাকে (ভুক্তভোগী নারী) খুন জখম করার হুমকি প্রদান করে তার ঘরে ইট পাটকেল মারতে থাকে।
পাথরঘাটা থানার এ এস আই (নিঃ) ইমদাদুল হক সাধারণ ডায়রীর ঘটনার প্রাথমিক তদন্তকালে ঘটনা সত্য বলে প্রতিয়মান হওয়ায় ভুক্তভোগী নারীর করা সাধারণ ডায়রীর স্বপক্ষে আদালতে চুড়ান্ত রিপোর্ট দাখিল করেন।
বর্তমানে অভিযুক্ত মিজান তালুকদারের ভয়ে ভীত-সন্ত্রস্ত রয়েছেন বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী ওই নারী।
অভিযুক্ত মিজান তালুকদারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে বলেন, বাদীর সাথে জমি জমার টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে মামলা করেছে, আমি আদালত থেকে জামিনে মুক্ত আছি।