সিনিয়র রিপোর্টার :
বিশ্ব যখন হাতের মুঠোয় তখন আর বিচারিক কার্যক্রম হাতে নয় কেন! বিচারপ্রার্থী ব্যক্তি যেন ঘরে বসেই জানতে পারেন তার বিচারিক সকল কার্যক্রম সম্পর্কে। এমন সহজলভ্যতায় পৌঁছে দিতে সাধারণ জনগণের দ্বোরগোড়ায় চলে এসেছে “আমার আদালত”। প্রতিটি ঘরেই রয়েছে একটি স্মার্ট ফোন। রয়েছে ইন্টারনেটের ব্যবহার। আর এই স্মার্ট ফোন থেকেই জানা যাবে মামলার সকল তথ্য।
স্মার্ট বিচার বিভাগ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে “সকল মামলার তথ্য এক ঠিকানায়” এই স্লোগানকে সামনে রেখে সরকারের ‘এটুআই’ প্রোগ্রাম’র আওতায় সারা দেশে জেলা পর্যায়ের আদালতসমূহের তথ্য অনলাইনে প্রকাশের উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে। প্লে-স্টোর থেকে মোবাইলে “আমার আদালত” অ্যাপস ডাউনলোড করে এবং মোবাইল বা কম্পিউটার থেকে https://causelist.judiciary.gov.bd/ এই ঠিকানায় ভিজিট করে বিশ্বের যে কোন প্রান্ত থেকে এখন আদালতের বিচারাধীন মামলার হালনাগাদ তথ্য, পরবর্তী তারিখ, রায় এবং আদেশ জানা যাবে।

ইতোমধ্যে ৪২ টি জেলায় এই কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। এরপর আরও কয়েকটি জেলার মধ্যে বরগুনায় গত রোববার (১৪ মে) দুপুর আড়াইটার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালত’র হলরুমে এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অনলাইন কজলিস্ট পরিচালনা কার্যক্রম উদ্বোধন করেন বরগুনার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মাদ আনিসুর রহমান।

উদ্বোধনী এ অনুষ্ঠানে সংযুক্ত ছিলেন- আইন ও বিচার বিভাগ’র যুগ্ম সচিব শেখ হুমায়ুন কবির, এটুআই জুডিসিয়ারী টিমের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ফারজানা খান, অতিরিক্ত জেলা জজ সাব্বির মাহমুদ চৌধুরী, যুগ্ম জেলা জজ মাহবুব সোবহানী। এছাড়াও বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল’র জেলা জজ মো. মশিউর রহমান খান, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ মাহবুব আলম, অতিরিক্ত জেলা জজ এ এফ এম মেজবাহ উল হক এবং বরগুনার সকল বিচারক, ম্যাজিস্ট্রেট এবং আদালতের সহায়ক কর্মচারীরা সংযুক্ত ছিলেন।
এটুআই টিমের পক্ষ থেকে ব্যবহারিক সেশন পরিচালনা করেন- যুগ্ম জেলা জজ মাহবুব সোবহানী।
সমাপনী বক্তব্যে বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ সকল বিচারক এবং কর্মচারীদের প্রতিদিনের মামলার হালনাগাদ তথ্য অনলাইনে আপলোড করার নির্দেশ প্রদান করেন। পাশাপাশি এটুআই প্রোগ্রাম’র এমন যুগান্তকারী উদ্যোগ গ্রহন করায় তিনি সরকার এবং এটুআই জুডিসিয়ারী টিমকে ধন্যবাদ জানান।
“আমার আদালত” অ্যাপস্ কজলিস্ট উদ্বোনী অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন- বরগুনার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাহিদ হোসেন।