স্টাফ রিপোর্টার
আজ ২০ জুন, বিশ্ব শরণার্থী দিবস। প্রতি বছর জুন মাসের ২০ তারিখ বিশ্বজুড়ে শরণার্থীদের অমানবিক অবস্থানের প্রতি আন্তর্জাতিক নেতাদের সচেতনতা সৃষ্টির জন্য দিবসটি পালন করা হয়।
এবারের শরণার্থী দিবসের প্রতিপাদ্য হচ্ছে- ‘নিরাপত্তা খোঁজার অধিকার’।
বিমানের বোয়িং-৭৩৭’এ ইউএস-বাংলার ট্রলির আঘাত
যুদ্ধ, নির্যাতন, মামলা-হামলার মতো মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় বিশ্বজুড়ে বেড়েই চলেছে শরণার্থীর সংখ্যা। জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের তথ্য বলছে, ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে বিশ্বে শরণার্থীর সংখ্যা ১০ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। মোট শরণার্থীর মধ্যে বাংলাদেশির সংখ্যাও কম নয়। তবে বিশ্বে শরণার্থীদের আশ্রয়দাতা হিসেবে বাংলাদেশ সপ্তম অবস্থানে রয়েছে।

ইউএনএইচসিআরের প্রধান ফিলিপ্পো গ্রান্ডির মতে, সম্ভাব্য খাদ্য সংকটের কারণে আরও মানুষ বাস্তুচ্যুত হতে বাধ্য হবে। এছাড়া যুদ্ধ, সংঘাত, জলবায়ু সংকট তো রয়েছেই। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এক হয়ে এই মানবিক দুর্দশা লাঘবে, সংঘাত বন্ধে উদ্যোগ না নিলে এই ভয়াবহ প্রবণতা অব্যাহত থাকবে।
এদিকে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরাট একটা অংশ আমাদের দেশে আশ্রয় নিয়েছে। মিয়ানমারের সেনা নির্যাতন ও গণহত্যা থেকে বাঁচতে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। এছাড়া এর আগে থেকেই আরেও প্রায় ৪ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে রয়েছে।
বর্তমানে বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গাকে নিয়ে বিরাট চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বাংলাদেশ। কয়েক দফা উদ্যোগের পরও একজন রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো যায়নি।
নাগরিকত্ব, নিরাপত্তা, স্বাধীনভাবে চলাফেরা করার নিশ্চয়তা নিয়ে তারা আদৌ নিজ দেশ মিয়ানমারে ফিরতে পারবে কি না, তা নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় রোহিঙ্গারা।