স্টাফ রিপোর্টার :
সুস্বাদু, রসালো, তৃষ্ণা নিবারক এবং তৃপ্তিদায়ক ফল হিসেবে তরমুজের জুড়ি মেলা ভার। শুধুমাত্র এপ্রিল ও মে মাসে আমাদের দেশে তরমুজ পাওয়া যায় বলে এসময়টাকে তরমুজের মৌসুম বলা হয়।
সম্প্রতি দেশের বাজারে সারাবছর চাষ করা যায় এমন এক ধরণের তরমুজ পাওয়া যাচ্ছে, যাকে বেবী তরমুজ বলা হয়। শুধুমাত্র শারীরিক পরিশ্রম ছাড়া তেমন খরচ নাই, কীটপতঙ্গ আক্রমন না থাকা, ৭০ থেকে ৮০ দিনে ফলন পাওয়া এবং বিঘা প্রতি ৬ থেকে ৮ টন ফলন পাওয়া যায়। দুর্যোগ প্রবণ এবং লবনাক্ত জমিতে সহজে আবাদযোগ্য স্বল্প সময়ে অধিক লাভজনক বেবী তরমুজ চাষ কৃষকদের জন্য হতে পারে আশির্বাদ।
বরিশাল বিভাগে পঞ্চাশ ব্রাঞ্চ নিয়ে গড়ে ওঠা বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সংগ্রাম (সংগঠিত গ্রামোন্নয়ন কর্মসূচি) গত মঙ্গলবার (৯ মে) বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার পাথরঘাটা সদর ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে সর্জান চাষীদের বেবি তরমুজ চাষ বিষয়ে প্রশিক্ষণের আয়োজন করে।
পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)’র সহায়তায় বাস্তবায়িত পেস-সূর্যমূখী প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণে ২৫জন সর্জান চাষীকে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন পাথরঘাটার উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ফারজানা তাসনিম।
চৌধূরী মাসুম কৃষি প্রযুক্তি ইনস্টিটিউট’র অধ্যক্ষ কৃষিবিদ মো: জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- পাথরঘাটা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আলমগীর হোসেন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন- সংগ্রাম’র পরিচালক (প্রশিক্ষণ) মো. মাসউদ শিকদার, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শ্যমল হাওলাদার।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন- পেস-সূর্যমুখী প্রকল্পের ভ্যালুচেইন ফেসিলেটেটর (ভিসিএফ) মুসলিমা খাতুন।