আবুল হাসান
বরগুনার তালতলীতে ফসলি জমির মধ্যে বন্দোবস্তীয় সরকারি খাল কেটে ব্যক্তিগতভাবে ভড়াট ও মাছ চাষের উপযোগী করার অপচেষ্টায় হুমকিতে পড়তে পারে এলাকার কয়েক শ’ একর ফসলি জমি। উপজেলার কড়ইবাড়িয়া ইউনিয়নের আলীর বন্দর এলাকায় এমন ঘটনার সংবাদ পাওয়া যায়।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, কড়ইবাড়িয়া ইউনিয়নের উত্তর ঝাড়াখালী এলাকার আ. রহিমের স্ত্রী রেহেনা বেগম ২০০৬-০৭ সালে ১ একর সম্পত্তি বাংলাদেশ সরকার থেকে বন্দোবস্ত পায়। তার মধ্যে জিয়ালী খাল অর্থাৎ আলীরবন্দর খালের মোহনা নামে পরিচিত খালটি সরকারি ও প্রবাহমান খাস খাল। যার দৈর্ঘ্য ৬০-৬৫ শতাংশ ও প্রস্থ প্রায় ৫০ ফুট এবং ৪ পাশে রয়েছে ফসলি জমি। খাল ভাড়াটে রেহেনার অনিচ্ছা থাকলেও তার স্বামী জোরপূর্বক খাল ভরাট করার জন্য ভেকু মেশিন নিয়ে আসে। এসময় স্থানীয় কৃষকরা বাঁধা প্রদান করে মাটি কাটা বন্ধ করে দেয়।
এ বিষয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল হক সিকদার জানায়, এই এলাকার কৃষকরা প্রতিবছর ধান চাষ শেষে তরমুজ, মরিচ, মুগডাল সহ নানা প্রজাতির ফসল ফলিয়ে থাকেন। সরকারি এই খালের ভিতরে এমনিতেই দুটি বাদ দেয়া আছে। যার কারণে ফসলি জমি থেকে প্রতি বছর লোকসান গুনতে হয় কৃষকদের। এই খালটি খনন করা অত্যন্ত জরুরি। নয়তো এই এলাকার কৃষকরা কৃষি কাজ থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিতে বাধ্য হবে। অতি দ্রুত বাঁধ ও খাল কেটে খালটি কৃষকদের জন্য উম্মুক্ত করে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় কৃষকরা।
তালতলী উপজেলা কৃষি অফিসার রেজাউল করিম জানায়, সরকারি খাল কেটে ব্যক্তিগতভাবে বাঁধ দিয়ে কৃষি জমি নষ্ট করা যাবে না। এমন অনিয়মে কৃষকদের অনেক বড় ক্ষতি হবে। আমি অতি দ্রুত উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করব।
তালতলী উপজেলা নির্বাহি অফিসার কাওসার হোসেন জানায়, সরকারি খাল কেউ ব্যক্তিগতভাবে কেটে সুবিধা ভোগ করতে পারবে না। সরকার কাউকে প্রবাহমান খাল বন্দোবস্ত দেয়না। কৃষকদের কোন প্রকার ক্ষতি করা যাবে না। এবিষয়ে এখন পর্যন্ত আমার কাছে কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব এবং অনেকেই ভয়া কাগজপত্র করে খাস জমির দখলদার হয়েছেন, যদি এরকম কোন প্রমাণ পাওয়া যায়, সে ব্যাপারেও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।