পাথরঘাটা প্রতিনিধি
জমি নিয়ে বিরোধের জেরে বরগুনার পাথরঘাটায় দু’পক্ষের সংঘর্ষে উভয়পক্ষের নারী-পরুষসহ ছয়জন আহত হয়েছে।
ঘটনাটি গত শুক্রবার (৮ এপ্রিল) দুপুরের দিকে পাথরঘাটা পৌর শহরের ৩ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় এ সংঘর্ষ ঘটে। আহতরা মৃত আব্দুল করিমের ছেলে ইউনুস (৫০), তার স্ত্রী খাদিজা (৪৯), ছেলে ইমরান (১৫), ভাইয়ের স্ত্রী জাহেদা (৫০), বোন খালেদা (৩২) ও মৃত গহুরের ছেলে মিজান (৪২)। এরা সবাই পাথরঘাটা পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
আহত ইউনুস বলেন, দীর্ঘদিন ধরে প্রতিপক্ষ আলমের সঙ্গে জমি নিয়ে আমার বিরোধ এবং মামলা চলমান। আদালত থেকে বিরোধপূর্ণ ওই জমিতে কেউ যাতে ঘর ওঠাতে না পারে এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়। কিন্তু আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে প্রতিপক্ষ আলম ও তার ছেলে ভাড়াটে সন্ত্রসীদের নিয়ে রাতের আধারে জমিতে ঘর তোলেন।
শুক্রবার সকালে আমার ছেলে ইমরান আল-আমিনের কাছে ঘর তোলার বিষয়ে জানতে চাইলে কিছু না বলেই আলমের ভাই মিজানুর, তার স্ত্রী বেবি, ভাগ্নে মাইনুল, বোনের স্বামী তোফাজ্জেল ও ভাড়াটে সন্ত্রসীসহ প্রায় ২৫ জন লোক নিয়ে লোহার রড, রামদা, দেশীয় অস্ত্র ও লাঠি দিয়ে আমাদের ওপর হামলা করে। এ সময় আমার ছেলে চিৎকার দিলে তাকে বাঁচাতে ছুটে যাই। সে সময় আমাকে ও আমার স্ত্রীসহ প্রায় পাঁচজনকে মারধর করে গুরুতর আহত করা হয়।
পরে স্থানীয়রা আমাদের উদ্ধার করে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। আহতদের মধ্যে মা ও ছেলের (খাদিজা ও ইমরান) অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের দু’জনকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়।
অভিযুক্ত আলমের কাছে জানতে চাইলে রাতের আধাঁরে ঘর তোলা ও মারধরের কথা স্বীকার করে বলেন, আমরা কাউকে মারধর করিনি, উল্টো তারাই আমার ভাই মিজানকে মারধর করেছে।
পাথরঘাটা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল বাশার জানান, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।