ইমরান হোসাইন, পাথরঘাটা
দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’ এখন শক্তি বাড়িয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। এর প্রভাবে উপকূলীয় এলাকা পাথরঘাটায় সোমবার সকাল থেকে ঝোড়ো বাতাস ও বৃষ্টি হচ্ছে। ফসলের ব্যপক ক্ষতির আশঙ্কা করেছে কৃষক। ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ থাকায়, আতঙ্কে উপকূলবাসী।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি সোমবার সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ২০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ২০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।
এটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসমূহকে ২ (দুই) নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ‘‘অশনি’ প্রভাবে উপকূলের ফসলের ব্যপক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে ও ভারী বৃষ্টির কারণে পরিপক্ব হয়ে ওঠা এসব ফসলের বেশির ভাগই ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বিশেষ করে মুখডাল, সূর্যমুখি, ভুট্টা, চিনা বাদাম, মরিচ, বোরো ধান, গ্রীষ্মকালীন সবজি, আম, কাঁঠাল ও লিচুর মতো ফলের ক্ষতির আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি।
বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী জানান, সমুদ্র উত্তাল হওয়ায় অধিকাংশ মাছধরা ট্রলার ঘাটে ফিরেছে। অনেকে সুন্দবনের ভিবিন্ন এলাকায় আশ্রয় নিয়েছে।