বেতাগী হাসপাতলের স্বাস্থ্য কর্মকর্তার অপসারনের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল

শাহাদাত হোসেন মুন্না

বরগুনার বেতাগীতে ঘুষ বানিজ্য, দুর্নীতি ও কর্তব্যে অবহেলা সহ নানা অনিয়মের অভিযোগে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আব্দুল্লাহ আল-মামুনকে স্থানীয় জনতা অবরুদ্ধ করে অফিস কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেয়। প্রত্যাহার ও অপসারণের দাবিতে ঘন্টা ব্যাপি হাসাপাতাল ক্যাম্পাসে মিছিল করে স্থানীয়রা।

রবিবার (১২ জুন) সকাল সারে দশটায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় শতাধিক নারী, পুরুষ হঠাৎ হাসাপাতাল ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আব্দুল্লাহ আল-মামুনের প্রত্যাহার ও অপসারণের দাবিতে মিছিল করতে থাকে।

এক পর্যায় তার আবাসিক ভবনে গিয়ে তাকে অবরুদ্ধ করে এবং হাসাতালে তাঁর অফিসকক্ষে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সম্মুখে অবস্থান নেয়।

বেতাগী থানা পুলিশ খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে। অবস্থানকালে বক্তব্য রাখেন, পৌর কাউন্সিলর আব্দুল মন্নান, শিক্ষার্থী মো: রাব্বী আকন, সরোয়ার হোসেন, হাদীসুর রহমান, মেহেদী হাসান ও তৃতীয় লিংগের সোনালী ও কথা।

সকাল সারে ১১ টার দিকে উপজেলা চেয়ারম্যান মাকসুদুর রহমান ফোরকান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো: সুহৃদ সালেহীন , বেতাগী পৌরসভার মেয়র এবিএম গোলাম কবির, ভাইস চেয়ারম্যান অমিরুল ইসলাম পিন্টু ও থানা পুলিশ ঘটন স্থলে পৌছে জনতাকে শান্ত করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।

এর আগে স্বাস্থ্য কর্মকর্তার অপসারন দাবিতে স্বাস্থ্য বিভাগের মাঠ কর্মীরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি শুরু করেন। এতে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে অচলাবস্থা ও রোগীদের দূর্ভোগের সৃষ্টি হলে বরিশাল বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. মো. হুমায়ুন শাহীন খান সরেজমিনে এসে কর্মচারীদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠকের পর দাবি পূরণের আশ্বাসে গত ২৪ মে রাতে তারা কর্মবিরতি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়।

কিন্তু আশ্বাসের পরেও এখন পর্যন্ত কোন প্রতিকার না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে জনতা।

বেতাগী থানার অফিসার ইনচার্জ মো: শাহআলম হাওলাদার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে জনতাকে শান্ত করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।

তবে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আব্দুল্লাহ আল-মামুন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে তাঁর সুসম্পর্কের অভাবে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে তিনি মনে করেন। তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সত্য নয়।

বেতাগী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো: সুহৃদ সালেহীন বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে যাতে দ্রুত প্রত্যাহার করা হয়, সে বিষয় ইতোমধ্যে বরগুনা জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সাথে কথা বলেছি। আশা করছি অচিরেই এ সমস্যার সমাধান হবে।

Spread the love
       
 
 
    

Leave a Reply

Your email address will not be published.