স্টাফ রিপোর্টার
বরগুনা সরকারি কলেজ ক্যান্টিন পুনরায় চালু করার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল এর ইয়াং লিডার্স ফেলোশিপ এর নেতৃবৃন্দ।
ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল এর ইয়াং লিডার্স ফেলোশিপ প্রোগ্রামের বিশ তম ব্যাচের ফেলোদের পক্ষ থেকে বরগুনা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের সম্মিলিত উদ্যোগে মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে বরগুনা প্রেসক্লাব’র সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল, রাজনৈতিক ফেলো ও বরগুনা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগ এর সদস্য জাহিদুল ইসলাম রিমন, জান্নাত বিনতে ইউসুফ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের বরগুনা সরকারি কলেজ সদস্য মোঃ সুজন ও তাসলিমা।
তারা তাদের লিখিত বক্তব্যে বলেন, ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের ইয়াং লিডারস ফেলারশিপ প্রোগ্রামটি সারা দেশ থেকে আসা তরুণ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দরা রাজনৈতিক প্রজ্ঞা নেতৃত্বের দক্ষতা দ্বন্দ নিরসন এবং দল সুসংগঠিত করনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রশিক্ষণ সফলতার সাথে সম্পন্ন করে। সেই সাথে তরুণ নেতারা তৃণমূলে বহুদলীয় উদ্যোগে স্থানীয় সমস্যা সমাধানে অ্যাডভোকেসি কার্যক্রম পরিচালনা করেন। এই ফেলারসিপ কর্মসূচি তরুণ ও রাজনীতিবিদদের আনুষ্ঠানিক রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় যুক্ত হতে সহায়তা করে এবং রাজনৈতিক নীতি নির্ধারক পর্যায়ে তাদের কণ্ঠস্বর পৌঁছানোর একটা প্লাটফর্ম তৈরি করে দেয়। সারা দেশ জুড়ে গঠনমূলক রাজনৈতিক সংস্কৃতি চর্চায় এই ফেলোশিট প্রোগ্রামের তরুণ রাজনীতিবিদরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন।
তারা বলেন, দেশের প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একটি ক্যান্টিন থাকবে এটাই খুব স্বাভাবিক। আমরা সকলেই বরগুনা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী। বরগুনা সরকারি কলেজে শিক্ষা কার্যক্রমে অংশ নিতে প্রায় ৮ হাজার শিক্ষার্থী আসেন। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ক্লাস চলে কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে আমাদের কলেজ ক্যান্টিনটি অচল থাকায় মধ্যাহ্নভোজ ও হালকা নাস্তা খাওয়া তাদের ক্যাম্পাসের বাইরে বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে অনেক বেশি দামে খাবার কিনে খেতে হয়। এতে তাদের খরচ বেশি হচ্ছে। সকলের বাইরের রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাওয়ার একই রকম সামর্থ্য থাকে না। তাছাড়া কলেজ ক্যান্টিনে খেলে যথা সময়ে ক্লাস ধরা যায়। খাবারের জন্য বাইরে যেতে সময় নষ্ট হয় না। আমাদের কলেজ ক্যান্টিনটি চালু হলে সকল শিক্ষার্থী সরকার নির্ধারিত মূল্যে ও কম খরচে খাবার কিনে খেতে পারবে। এমতাবস্থায় বরগুনা সরকারি কলেজ ক্যান্টিনটি পুনরায চালু হওয়া সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য অত্যন্ত জরুরি।
তারা আরো বলেন, কলেজ শিক্ষার্থীদের এই দুর্ভোগ নিরসনে আমরা শিক্ষার্থীদের কাছে বিষয়টি তুলে ধরে তাদের সমর্থন সূচক স্বাক্ষর সংগ্রহ করি এবং কলেজ কর্তৃপক্ষ বরাবর আবেদনসহ জমা দেই। কলেজ কর্তৃপক্ষ উক্ত সমস্যার নিরসনের আশ্বাস দেন এবং কলেজ ক্যান্টিন সচল করার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি দেন। এছাড়াও তাদের বক্তব্যে বলেন কলেজ ক্যান্টিন এর পরপরই আমরা কলেজ’র কমনরুম, হোস্টেল ও ছাত্র সংসদ নিয়ে কর্মসূচি ডাকবো।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, মাল্টিপার্টি অ্যাডভোকেসি ফোরামের সহ-সভাপতি মনির হোসেন কামাল, সাধারণ সম্পাদক সাহাব উদ্দিন সাবু, সদস্য জাকির হোসেন মিরাজ, হাসানুর রহমান ঝন্টু, এডভোকেট সোহেল হাফিজ, জাফর হোসেন হাওলাদার, অ্যাডভোকেট রঞ্জুয়ারা শিপু, আতিকা আহমেদ, আরতি রায়, শহিদুল ইসলাম স্বপ্ন, জাহাঙ্গীর কবীর মৃধা, রেজাউল ইসলাম টিটু, ফেরদৌস খান ইমন, রিয়াজ আহমেদ, আরিফ খান, শাহ আলী, দৈনিক স্বাধীন বাণী পত্রিকার বার্তা সম্পাদক মো: সানাউল্লাহ রিয়াদ প্রমুখ।