ঈদগা মাঠ মসজিদ ও মাদ্রাসার জমি দখলের অভিযোগ

মাদ্রাসার জমিতে নির্মাণ করা হচ্ছে দোকান ঘর

স্টাফ রিপোর্টার

বরগুনা সদর উপজেলার ৭ নং ঢলুয়া ইউনিয়নের লেমুয়া গ্রামের ঈদগাহ মাঠ, মসজিদ ও মাদ্রাসার জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে।

গত ৫ এপ্রিল সকালের দিকে এমন ঘটনা ঘটলে লেমুয়া ঈদগাহ মাঠ মসজিদ ও মাদ্রাসা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ মিরাজ বরগুনা সদর থানায় ওইদিনই একটি অভিযোগ দাখিল করেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ওই একই এলাকার মৃত কাঞ্চন আলীর ছেলে মো: হাফিজ খান (৫৩) ও মো: হারুন খান (৬৩) ঈদগাহ মাঠ মসজিদ ও মাদ্রাসার জমি জোরপূর্বক দখলের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন প্রকারের পাঁয়তারা করে আসছে। একই সাথে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ও কমিটিকে জমি দখলের জন্য বিভিন্ন ভয় ভীতি এবং হুমকি প্রদান করে আসছে।

মাদ্রাসার প্রবেশ পথে দোকানঘর নির্মাণ করছে।

এ নিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে সালিশ বৈঠক হলেও মীমাংসা করতে ব্যর্থ হন। অভিযুক্তরা ঈদগাহ মাঠ ভাড়া দিয়ে অর্থ নিজেদের কাজে ব্যয় করছে বলেও অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে। অনৈতিক কাজে কমিটি বহুবার বাঁধা প্রদান করলেও কথা শুনতে রাজি নন হাফিজ ও হারুন।

ঈদগাহ মাঠ ব্যবহার হচ্ছে সেনিটারি সরঞ্জামাদি উৎপাদন ও বিক্রির ক্ষেত্রে

গত ৫ এপ্রিল ঈদগাহ মাঠে প্রবেশ এর দরজা বন্ধ করে দোকান ঘর তৈরির কাজ শুরু করে। এতে বাঁধা দিতে গেলে ঈদগা মাঠ মসজিদ-মাদ্রাসা কমিটিকে নানাভাবে হুমকি ও অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে অভিযুক্ত দুই ভাই। এমনকি মিথ্যা মামলা দেবে বলেও হুমকি প্রদান করে তারা।

সকল ধরনের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে ঘটনার দিনই কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো: মিরাজ সদর থানায় একটি অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

স্থানীয় মুসুল্লিরা বলছেন, এ ধরনের কর্মকাণ্ড কাফেরদের কর্মকাণ্ডের শামিল। স্থানীয়ভাবে অনেক চেষ্টা করেও এর সমাধান করা সম্ভব হয়নি। এখন আইনি প্রক্রিয়াই পারে এর সুষ্ঠু সমাধান করতে। আমরা এলাকার মুসল্লিরা এমন গর্হিত কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাই। সেই সাথে এর সমাধান অতিদ্রুত আশা করছি পুলিশ প্রশাসনের কাছে।

ঈদগাহ মাঠ ব্যবহার হচ্ছে সেনিটারি সরঞ্জামাদি উৎপাদন ও বিক্রির ক্ষেত্রে

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বরগুনা সদর থানার এএসআই আলমাস বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পরেই সরেজমিনে গিয়ে দেখেছি। উভয়পক্ষকে কাগজপত্র দাখিল করতে বলা হয়েছে। কাগজপত্র অনুযায়ী সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে ব্যবস্থা নিব।

Spread the love
       
 
 
    

Leave a Reply

Your email address will not be published.