স্টাফ রিপোর্টার
দীর্ঘ ৮ বছর ধরে ঝুলে থাকা ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরীকে ধর্ষণের দায়ে এক আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও দুইজনকে তিন বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়াও প্রত্যেক আসামিকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।
সোমবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, বরগুনা সদর উপজেলার গিলাতলী গ্রামের শহিদ বিশ্বাসের ছেলে ফরহাদ বিশ্বাস, আবদুস সালামের ছেলে আবদুল জব্বার ও ইকবালের স্ত্রী গ্রাম্য ডাক্তার জেসমিন। অপর আসামি মালেককে খালাস দিয়েছেন আদালত।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ১৩ মার্চ সকালে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয়। এতে সে গর্ভবতী হয়ে পড়ে। এরপর আসামি জব্বার ওই কিশোরীকে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য বরগুনার গ্রাম্য ডাক্তার জেসমিনের কাছে নিয়ে যান। জেসমিন গর্ভপাত করার জন্য একটি ইনজেশন পুশ করেন। এতে ওই কিশোরী অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং গর্ভের সন্তান নষ্ট হয়ে যায়। এ ঘটনায় ২০১৪ সালের ১৩ অক্টোবর ওই কিশোরীর বাবা বরগুনা থানায় অভিযোগ করেন।
রায়ের বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আশ্রাফুল আলম বলেন, রায়ে বাদী ও রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্ট। এ রায় প্রমাণ করে অপরাধ করলে তার শাস্তি ভোগ করতে হয়।
এদিকে ওই কিশোরীর বাবা বলেন, আসামি ফরহাদ বিশ্বাস আমার মেয়ের জীবনটা শেষ করে দিয়েছে।
আসামীপক্ষের আইনজীবী আবদুল মোতালেব মিয়া বলেন, এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাবো।