ইমরান হোসাইন
বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএফডিসি) পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক লে. এম. লুৎফর রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ এনে অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দিয়েছে পাথরঘাটার মৎস্যজীবীরা।
বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) বেলা ১০টার দিকে পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের সামনে কয়েক হাজার মৎস্যজীবীরা মানববন্ধন করেন, পরে পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) মাধ্যমে বিএফডিসি চেয়ারম্যান বরাবরে ৪ দফা দাবিতে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। মানববন্দনে অংশ নেন বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতি, বরগুনা জেলা ফিশিং ট্রলার শ্রমিক ইউনিয়ন, বিএফডিসি মৎস্য আড়তদার মালিক সমিতি, বিএফডিসি মৎস্য বাজার ঘাট শ্রমিক ইউনিয়ন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী, সহ-সভাপতি আলম মোল্লা, বিএফডিসি আড়ৎদার মালিক সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর জোমাদ্দার, সাধারণ সম্পাদক এনামুল হোসাইন প্রমুখ। এ সময় বক্তারা বলেন, উপকূলীয় মৎস্যজীবীদের সুবিধার্থে এবং দেশের রাজস্বে স্বার্থে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন কর্তৃক পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ ও পাইকারী মৎস্য বাজার স্থাপন করেন। বাংলাদেশ সুনীল অর্থনীতির ভূমিকা রাখছে পাথরঘাটার মৎস্যজীবীরা। সেই থেকেই বঙ্গোপসাগরসহ তৎসংলগ্ন বলেশ্বর, বিষখালী ও পায়রা নদী থেকে আহরিত সামুদ্রিক মাছ বিক্রি করা হচ্ছে পাথরঘাটা বিএফডিসিতে। প্রতি বছর সরকার এখান থেকে ৪ থেকে ৫ কোটি টাকার রাজস্ব আহরণ করছে। পাথরঘাটায় বৃহত্তম বিএফডিসি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র থাকা স্বত্বেও পার্শ্ববর্তী তালতলী উপজেলার ফকিরহাট এলাকায় একটি উপকেন্দ্র স্থাপন করা হয়। পাথরঘাটার ব্যবস্থাপক লুৎফর রহমান নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি করে পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র বন্ধ করে নিজ এলাকা ফকিরহাট উপকেন্দ্র চালু করার পায়তারা করছে।
এসময় মৎস্যজীবীরা দাবি করেন, তালতলী উপজেলার ফকিরহাট উপকেন্দ্র বন্ধ পূর্বক পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের সঙ্গে যুক্ত করণ, পাথরঘাটা বিএফডিসি ব্যবস্থাপক লে. এম. লুৎফর রহমানকে এক সপ্তাহের মধ্যে অপসারণ, বিএফডিসি চেয়ারম্যান সরেজমিন পরিদর্শন এবং আমাদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ ও ৭ দিনের মধ্যে ফকিরহাট উপকেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা এবং লুৎফর রহমানের অপসারণ না করা হলে অনির্দিষ্টকালের মাছ ক্রয় বিক্রয় বন্ধ রাখার ঘোষণাও দেন তারা।
এ বিষয় বিএফডিসির ব্যবস্থাপক লে. এম. লূৎফর রহমান বলেন, আড়তদার সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর জোমাদ্দারসহ একাধিক আড়তদারদের লাখ লাখ টাকা রাজস্ব বকেয়া রয়েছে। ওই টাকা আদায়ের জন্য তাদেরকে লিখিতভাবে দেওয়ায় ঈর্ষান্বিত হয়ে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন। ফকিরহাট উপকেন্দ্রের বিষয় তিনি বলেন, এটি সরকারের সিদ্ধান্তের আলোকেই কাজ করা হয়েছে।
Spread the love