টিফিনের টাকায় রমজানে দরিদ্রদের পাশে স্বপ্ন পূরণ যুব ফাউন্ডেশন

স্টাফ রিপোর্টার

তেমন বয়স নয়, এই ধরুন অষ্টম নবম ও দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী এরা। তবে মানসিকতা যেন মানবতার শীর্ষে। এরা একদল তরুণ। এক ঝাঁক পাখির মত উড়ে উড়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর প্রত্যয় নিয়ে ছুটে চলছে প্রতিনিয়ত। এক ভিন্ন তৃপ্তি। যে তৃপ্তি দিন শেষে রাতে বালিশে মাথা রাখলে একমুঠো খুশির ঝর্ণা বয়ে যায় মুখে। এ যেনো এক অনন্ত ও অনাবিল সুখের পরশ মাখা।

বরগুনায় কয়েক মাস পূর্বে এই শিশুরা স্বপ্নপূরণ যুব ফাউন্ডেশন নামে একটি সংগঠন গড়ে তোলেন। কাজ করবেন সমাজের বিভিন্ন মৌলিক চাহিদা নিয়ে। যার মধ্যে রয়েছে অক্ষরজ্ঞানহীন শিশুদের শিক্ষা প্রদান, বাল্যবিয়ে ও মাদকের বিরুদ্ধে লড়াই যেন এদের মনে জেঁকে বসেছে।

রমজানে ইফতারির জন্য প্রয়োজনীয় যে দ্রব্য টুকু কিংবা যে খাদ্য টুকু ব্যবহার হয়ে থাকে, তার যোগান দিতে না পারা মানুষগুলোর কাছে পৌঁছে দেয়া এদের ভিন্ন একটি কাজ।

সংগঠনের সভাপতি দশম শ্রেণি পড়ুয়া হাদিউর রহমান ধ্রুব বলেন, আমরা কাজ করতে চাই নিঃস্বার্থে। তবে সহযোগিতা চাই সকলের। সমাজ যেটা গ্রহণ করে না তার বিরুদ্ধে থেকে আমরা কাজ করতে চাই কিছু মৌলিক চাহিদা নিয়ে। সমাজ তথা দেশের স্বার্থে এভাবেই কাজ করে যাব।

স্বপ্নপূরণ যুব ফাউন্ডেশন এর উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি বরগুনা ইউনিটের সেক্রেটারি এডভোকেট মোঃ আব্দুল মোতালেব মিয়া বলেন, ছোট্ট ছোট্ট এই শিশুদের প্রতিটি কাজ যেন ফুটন্ত গোলাপের ন্যায়। এই শিশুদের মানবিক কাজগুলো সাফল্য পাক, এমনটাই প্রত্যাশা করছি। এমন কাজের জন্য বাহ বাহ দেয়া অবশ্যই সমাজের কর্তব্য বলে মনে করি।

তিনি আরো বলেন, যদি এ ধরনের সুন্দর কাজকে আমরা সাধুবাদ না জানাই তাহলে আমাদের ব্যর্থতা। সমাজকে আরো উচ্চশিখরে নিয়ে যেতে এমন সকল কাজের সহযোগিতা করা সমাজের দায়িত্ব। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেভাবে মানবতার মা হয়েছেন তার মানবিক কাজের গুনে। তেমনি তার পাশাপাশি আমাদেরও ছোট্ট পরিসরে হলেও সহযোগিতা করা উচিত। তবেই বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ মানবিকতার নজির হয়ে থাকবে বলে বিশ্বাস করি।

Spread the love
       
 
 
    

Leave a Reply

Your email address will not be published.