শাহাদাত হোসেন মুন্না
মেধাবী ছাত্র মো. হাসিবুর রহমান। বরগুনার বেতাগী উপজেলার ঐতিহ্যবাহী সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও বেতাগী সরকারি ডিগ্রী কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে ঢাকা কলেজের স্নাতক ২য় বর্ষে পড়ালেখা করেছে।
ভাগ্যের নির্মম পরিহাস! অল্প বয়সেই তাঁর শরীরে বাসা বেঁধেছে মরণব্যাধি ক্যান্সার। বর্তমানে সে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন।
হাসিবুর রহমানের বাড়ি বরগুনার বেতাগী পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডে। তার বাবা মো. বশির আলম একজন ক্ষুদ্র প্রান্তিক কৃষক। তার সামান্য আয়েই চলে পুরো সংসার। হাসিবের চিকিৎসার জন্য যে পরিমান টাকা প্রয়োজন তা তার পক্ষে জোগাড় করা সম্ভব নয়। এমনকি বশিরের সংসারের অভাব অনটনের কারণে ছেলের চিকিৎসার প্রায় বন্ধ হবার পথে।
হাসিবের বাবা বশির আলম বলেন, আমার একমাত্র ছেলে ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছে। ওর চিকিৎসার জন্য প্রায় ১৫ লাখ টাকার প্রয়োজন। বর্তমানে সে ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন আছে।
তিনি বলেন, নিজের সংসার ঠিকমতো চালাতে পারি না, ছেলের চিকিৎসা কী করে করব? ভেবে কূল পাই না।
হাসিবুর রহমান বলেন, ডাক্তার জানিয়েছেন সম্পূর্ণ সুস্থ হতে হলে বর্নমেরু ট্রান্সপ্লান্টেশন করতে হবে। এ পর্যন্ত চিকিৎসায় প্রায় ৪ লাখ টাকার মতো খরচ হয়েছে। আর বর্নমেরু প্রতিস্থাপনের আগেও কেমো দিতে হবে। তাতে আরও প্রায় ২ থেকে ৩ লাখ টাকার মতো খরচ হবে। কেমো খরচ যোগাতেই আত্মীয়-স্বজনের নিকট থেকে সহযোগিতা নিতে হয়েছে একাধিকবার। এখন আমার পরিবারের পক্ষে চিকিৎসার খরচ বহন করা সম্ভব হচ্ছে না।