পাথরঘাটা প্রতিনিধি
বরগুনার পাথরঘাটায় স্কুলছাত্র জিয়াউর রহমান রনি হত্যা মামলায় দুজনকে আট বছর করে কারাদন্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড দিয়েছে আদালত। এ মামলায় অপর আরেক আসামিকে খালাস দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) এ রায় দেন বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক হাফিজুর রহমান।
মামলা সূত্রে জানা যায়, পাথরঘাটা উপজেলার কাঁঠালতলী ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামের আবদুল মান্নান গাজীর ছেলে স্কুলছাত্র জিয়াউর রহমান রনি ও একই এলাকার আবদুল বারেকের মেয়ে পপি আক্তারের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তারা সহপাঠী ছিল। কিন্তু পপির ভাই তরিকুল এ সম্পর্ক মেনে নিতে পারেনি।
পরে ২০১১ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি রাতে পপির ভাই তরিকুল ও তার বন্ধু মনির হোসেন স্কুলছাত্র রনির বাড়ি গিয়ে তাকে ডেকে আনে। রাতে রনি বাড়িতে না আসায় পরদিন তার মা পাথরঘাটা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। একই দিন আসামিরা রনির পরিবারের কাছে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। ঘটনার ৭ দিন পর ২২ ফেব্রুয়ারি রনির মরদেহ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় নিহত রনির মা সাহিদা বেগম বাদী হয়ে ১০ জনের বিরুদ্ধে ওই দিনই একটি মামলা করেন।
দীর্ঘদীন পর গত মঙ্গলবার দুপুরে বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক হাফিজুর রহমান আসামি তরিকুল ইসলাম ও মনির হোসেনকে আট বছর করে কারাদন্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড দেন। মামলার অপর আসামি পপিকে খালাস দেয় আদালত।
দন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- পাথরঘাটার কাঁঠালতলী গ্রামের মকিম খানের ছেলে মনির হোসেন (১৭) ও তার বন্ধু আবদুল বারেকের ছেলে তরিকুল ইসলাম (১৭)।
এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আসামিরা নাবালক হওয়ায় আট বছর করে দন্ড দিয়েছেন আদালত। সাবালক হলে তাদের যাবজ্জীবন কারাদন্ড হতো। রায়ে আমরা সন্তুষ্ট।
আসামিপক্ষের আইনজীবী নুরুল আমীন বলেন, রায়ের বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করব। উচ্চ আদালতের প্রতি আমরা আস্থাশীল।