সাত দফা দাবিতে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী দাবি আদায় ঐক্য পরিষদের স্মারকলিপি প্রদান

স্টাফ রিপোর্টার

দশম ধাপে নবম পে স্কেল প্রদান ২০১৫ সালে প্রত্যাহারকৃত টাইম স্কেল, সিলেকশন গ্রেড পূনর্বহাল এবং শতভাগ পেনশন ব্যবস্থা চালুসহ সাত দফা দাবি বাস্তবায়নে স্মারকলিপি প্রদান করেছে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী দাবি আদায় ঐক্য পরিষদ।

রবিবার (০২ অক্টোবর) দুপুর ১২ টার দিকে বরগুনা জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমানের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে পরিষদের বরগুনা জেলা শাখার জেলা সমন্বয়ক মোঃ এনামুল কবীর ও মোঃ নাসিরুজ্জামান এ স্মারকলিপি প্রদান করেন।

বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী দাবি আদায় ঐক্য পরিষদ এর ঘোষিত দাবী সরকারি কর্মচারীদের জন্য নবম পে স্কেল বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পে কমিশন গঠন, অন্তর্বর্তীকালীন সময়ের জন্য মহার্ঘ ভাতা প্রদান, মন্ত্রণালয়ের ন্যায় পদ-পদবি পরিবর্তন সহ এক ও অভিন্ন নিয়োগ বিধি প্রণয়নের মাধ্যমে বৈষম্য দূরীকরণ ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ঘোষিত দশ ধাপে নবম পে স্কেল প্রদান, ২০১৫ সালে প্রত্যাহিত টাইম স্কেল সিলেকশন গ্রেড এবং শতভাগ পেনশন ব্যবস্থা চালু সহ সাত দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

তাদের সাত দফা দাবির মধ্যে রয়েছে-

১/ পে কমিশন গঠনপূর্বক বৈষম্য মুক্ত নবম পে স্কেল বাস্তবায়ন করতে হবে। পে স্কেল বাস্তবায়নের পূর্বে অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে ৫০% মহার্ঘ ভাতা প্রদান করতে হবে।

২/ ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধুর ঘোষণা অনুযায়ী দশ ধাপে বেতন স্কেল নির্ধারণসহ পে কমিশনে কর্মচারী প্রতিনিধি রাখতে হবে।

৩/ সচিবালয়ের ন্যায় সকল দপ্তর অধিদপ্তর ও সাহিত্য শাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের পদ ও পদবী পরিবর্তন সহ এক ও অভিন্ন নিয়োগ বিধি প্রণয়ন করতে হবে।

৪/ টাইম স্কেল সিলেকশন গ্রেট বেতন জেষ্ঠতা পুনর বহল এবং সকল সাহিত্যশাসিত প্রতিষ্ঠানে গ্রাচুইটির পরিবর্তে পেনশন প্রবর্তন সহ বিদ্যমান গ্র্যাচুইটি/আনুতোষিকের হার ৯০% এর স্থলে ১০০% নির্ধারণ ও পেনশন গ্র্যাচুইটি ১ টাকায় = ৫০০ টাকা নির্ধারণ করতে হবে।

৫/ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের আপিল বিভাগের রায় বাস্তবায়ন সহকারী শিক্ষকদের বেতন নিয়োগ বিধি ২০১৯ এর ভিত্তিতে দশম গ্রেডে উন্নতকরণ। আউটসোর্সিং পদ্ধতি বাতিলপূর্বক উক্ত পদ্ধতিতে নিয়োগকৃত ও উন্নয়ন খাতের কর্মচারীদের রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করতে হবে।

৬/ ব্লক পোস্টে কর্মরত কর্মচারীসহ সকল পদে কর্মরতদের পদোন্নতি বা পাঁচ বছর পর পর উচ্চতর গ্রেড প্রদান করতে হবে, অধস্থন আদালতের কর্মচারীদের বিচারবিভাগীয় কর্মচারী হিসেবে গণ্য করতে হবে, এছাড়া টেকনিক্যাল কাজে নিয়োজিত কর্মচারীদের টেকনিক্যাল পদমর্যাদা দিতে হবে।

৭/ বাজার মূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির সাথে সমন্বয় পূর্বক সকল ভাতা দিয়ে পুনঃনির্ধারণ করতে হবে। চাকরিতে প্রবেশের বয়স সীমা ৩৫ বছর ও অবসরের বয়সসীমা ৬২ বছর নির্ধারণ করতে হবে।

Spread the love
       
 
 
    

Leave a Reply

Your email address will not be published.