স্টাফ রিপোর্টার
বরগুনার আমতলীতে এ বছর তরমুজ চাষে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। তবে দেরি করে তরমুজ চাষে কিছুটা ফলন কম হলেও উৎপাদিত তরমুজ ভালো হয়েছে। উৎপাদিত তরমুজ ইতোমধ্যে বাজারে বিক্র শুরু হয়েছে। প্রতিটি তরমুজ পিচ হিসেবে বিক্রি হচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ক্ষেত থেকে তরমুজ তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তরমুুজ চাষীরা। কেউ আবার বিক্রির জন্য নিজ জেলা ও বাইরের জেলাতে পাঠানোর কাজে ব্যাস্ত।
কৃষকরা জানান, দেরি করে তরমুজ বিচি লাগানোর কারনে কিছুটা ফলন কম হয়েছে। তবে উৎপাদন ভালো হয়েছে। কৃষকদের উৎপাদিত তরমুজ স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে চলে যায় বিভিন্ন জেলায়। এতে তরমুুজ চাষ করে অনেকেই স্বাবলম্বী হয়ে উঠছেন।
তবে অর্থের যোগান দিতে বেগ পেতে হয়নি এ চাষিদের। স্বনামধন্য এনজিও সংগ্রাম’র অর্থায়নে তরমুজ চাষীরা চাহিদানুযায়ী তরমুুজ চাষ করতে পেরেছে বলেও জানিয়েছেন এসব তরমুজ চাষীরা। এনজিও সংগ্রাম এ বছর ৪ কোটি টাকা তরমুজ চাষীদের ঋণ প্রদান করেছেন বলে নিশ্চিৎ করেছেন সংগ্রাম’র পরিচালক (ক্রেডিট) মোঃ হুমায়ুন কবীর।
আমতলী কৃষি কর্মকর্তা সি এম রেজাউল করিম মুঠোফোনে বলেন, এবছর আমতলীতে ৩ হাজার ৫শ’ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ হয়েছে। তবে তরমুজ চাষের মূখ্য সময় ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ। কিন্তু তরমুজ চাষীরা সময়মতো চাষ না করতে পারায় উৎপাদন গত বছরের তুলনায় কম হয়েছে। পার হেক্টর জমিতে ৩৫-৪০ টন তরমুজ উৎপাদন হয়েছে। আমরা কৃষি বিভাগের তরফ থেকে কৃষকদের সহযোগিতা করার চেষ্টা করেছি।