স্টাফ রিপোর্টার
সম্প্রতি নড়াইলের মীর্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের এক ছাত্রের বিতর্কিত ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে অধ্যক্ষকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় দেশব্যাপী তোলপাড় শুরু হয়েছে। এর জেরে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নড়াইলের মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ এবং মাদরাসার দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মোবাইল ফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
মঙ্গলবার (২৮ জুন) জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা স্বাক্ষরিত এক পত্রে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের কাছে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে। যার স্মারক নম্বর-৩৭.১০.৬৫০০,৩৫৬.৯৯.০০০.২২.৩৫২৮।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে ‘সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মোবাইল ফোন আনা নিষেধ থাকা সত্ত্বেও শিক্ষার্থীরা গোপনে মোবাইল আনছে এবং ভালো-মন্দ, কোনো কিছু বিবেচনা না করে বিভিন্ন ধরনের বিতর্কিত পোস্ট, লাইক এবং শেয়ার নিয়ে বিব্রতকর ও উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে। ইতোমধ্যে মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ও মির্জাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির একজন শিক্ষার্থী এ ধরনের একটি করে পোস্ট দিয়ে চরম অনাকাঙ্ক্ষিত পরিবেশ সৃষ্টি করেছে ফলে প্রতিষ্ঠান দুটি সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে হয়েছে। এমতাবস্থায় সুধী সমাজের পক্ষ থেকে দাবি উঠেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মোবাইল ব্যবহারের বিষয়টি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করার। পরিস্থিতি বিবেচনায় নিম্নলিখিত নির্দেশনা অনুসরণ করার জন্য প্রতিষ্ঠান প্রধানদের অনুরোধ করা হল।
নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে- মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং কলেজ ও মাদরাসার দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের কোনোভাবেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মোবাইল আনা যাবে না। নির্দেশনাটি কঠোরভাবে বাস্তবায়নের জন্য শিক্ষকদের তৎপর থাকতে হবে এবং প্রয়োজনে শিক্ষার্থীদের ব্যাগ চেক করা যেতে পারে। কোনো শিক্ষার্থীর কাছে মোবাইল পাওয়া গেলে মোবাইল নিয়ে নেওয়াসহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
এছাড়া মোবাইল ফোনের ব্যবহার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে না আনার বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য ঈদের ছুটির পর নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নিয়ে অভিভাবক সমাবেশের আয়োজন করতে হবে।
শিক্ষা ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনকালে নির্দেশনাসমূহের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করবেন। পরিদর্শনকালে কোনো শিক্ষার্থীর কাছে মোবাইল পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট সবার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে ওই পত্রে উল্লেখ্য করা হয়েছে।
ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত চিঠি জেলার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এস এম ছায়েদুর রহমান বলেন, সম্প্রতি ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মোবাইল ফোন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।