বেতাগী প্রতিনিধি
প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে একদিন আগেই বরগুনার বেতাগী উপজেলার ১০টি গ্রামে পবিত্র ঈদ-উল আযহা উদযাপিত হয়েছে।
শনিবার (০৯ জুলাই) সকাল ৮টায় উপজেলার বকুলতলী গ্রামে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। জামায়াতে ইমামতি করেন হাফেজ মো. রমজান আলী।
এলাকাবাসী জানান, ১৯২৮ সাল থেকে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশের সঙ্গে মিল রেখে বেতাগী উপজেলার সদর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুরা, খোন্তাকাটা, গ্রেদ লক্ষ্মীপুরা, হোসনাবাদ ইউনিয়নের আনার জলিশা, কাজিরাবাদ ইউনিয়নের বকুলতলী এলাকার প্রায় ১০ গ্রামে চিশতিয়া কাদেরীয়া সম্প্রদায়ের কয়েক হাজার অনুসারীরা প্রতিবছরই সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে অগ্রীম রোজা ও অগ্রীম ঈদ পালন করে আসছেন।
খোন্তাকাটা গ্রামের বাসিন্দা আলী আহম্মদ আকন বলেন, ছোটবেলা থেকেই বাবা-মায়ের সঙ্গে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা পালন করে আসছি। তাই এখনও সেই নিয়মই পালন করছি।
বকুলতলী গ্রামের বাসিন্দা মো. গোলাম সরোয়ার জানান, প্রায় ১০০ বছর ধরে তারা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে এক দিন আগে রোজা ও ঈদ উদযাপন করে আসছেন। বাংলাদেশের সাতকানিয়া থানার মির্জাখিল দরবার শরীফের নির্দেশে এইভাবে রোজা ও ঈদ পালন করে আসছেন।
বেতাগী দারুল ইসলাম মহিলা আলিম মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক আকন্দ শফিকুল ইসলাম বলেন, বেতাগীতে কিছু মানুষ সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা ও ঈদ পালন করে আসছেন। এটি তাদের দীর্ঘদিনের রীতি। তবে এটা শরিয়ত সম্মত নয়। কারণ সৌদি আরবের সাথে বাংলাদেশের সময় ব্যবধান ৩ ঘন্টা। যদি সৌদির সাথে মিল রেখে রোজা এবং ঈদের নামাজ আদায় করতে হয় তাহলে তারা কেন অন্যান্য ধর্মীয় অনুষ্ঠান সৌদির সাথে মিল রেখে করেন না।
বেতাগী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাকসুদুর রহমান ফোরকান বলেন, “সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে তারা অগ্রিম রোজা পালন করে আসছেন। দীর্ঘদিন ধরেই উপজেলার কিছু গ্রামের মানুষ এভাবেই রোজা ও দুই ঈদ পালন করেন।”