বেতাগীতে সিত্রাংয়ের তাণ্ডবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন মুন্না

উপকূলীয় জেলা বরগুনার বেতাগীতে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে বসত ঘর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, গাছপালা, আমন ক্ষেত, মাছের ঘের, পানের বরজ, কলা ক্ষেত, বিদ্যুৎ ও ফসলের ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়েছে। সোমবার সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত দমকা হাওয়া ও অভিরাম ভারি বর্ষণ ও আমবশ্যার জো’র প্রভাবে বিষখালী নদীর পানি বৃদ্ধিতে নিম্নাঞ্চল পানিতে প্লাবিত হয়।

বিভিন্নস্থানে গাছ উপড়ে পরে অভ্যান্তরীণ যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। তবে মঙ্গলবার দুপুরের দিকে, সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়।

এদিকে উপজেলা জুড়ে রোববার মধ্যরাত থেকে বিদুৎ সরবারাহ বন্ধ রয়েছে এবং গ্রামীণ ও টেলিটক মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধসহ অন্য অপারেটারের নেটওর্য়াক বিঘ্নিত হয়। গত দুইদিন ধরে উপজেলায় বিদ্যুৎ ও মোবাইল নেটওর্য়াক না থাকায় অধিকাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।
পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মিল্টন বলেন,সিত্রাংয়ে প্রভাবে আমার বসতঘরের উপর গাছ উল্টে পরে ঘর ভোঙ্গে যায়,ঘরে আমি আমার পরিবার নিয়ে ছিলাম,তবে আমাদের কোন ক্ষতি হয়নি,আল্লাহ হেফাজত করেছেন ।

মৎস চাষী মারুফ সিকদার জানান, সিত্রাংয়ের প্রভাবে ২ একর পুকুরে ঘের তলিয়ে যাওয়ায় মাছ ভেসে যায়।

দক্ষিন করুনা প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সাবেক ভাইসচেয়ারম্যান আব্দুস সোবাহান জানান, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের ঝড়ো হাওয়ায় এলাকায় বিভিন্ন প্রজাতির ফলজ ও বনজ গাছ উপড়ে পড়ে গেছে।

উপজেলা আবাসিক প্রকৌশলী (ওজোপাটিকো) বিমল চন্দ্র সেন জানান, বিভিন্নস্থানে লাইন বিচ্ছিন্ন হওয়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ ছিল। অনেক চেষ্টায় মঙ্গলবার সন্ধ্যার মধ্যে উপজেলা সদরসহ অন্যান্য এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে আশ্বাস দেন।

উপজেলা কৃষি অফিস জানান, সিত্রাংয়ের প্রভাবে রবিশস্য, আমনের বীজতলাও পানের বরজের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সুহৃদ সালেহীন বলেন, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবেলায় প্রশাসনের সর্বাত্মক প্রস্তুতি ছিলো। সোমবার সন্ধ্যার পূর্বেই আশ্রয় কেন্দ্রে লোকজন আসেন। তাদেরকে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়। উপজেলার ক্ষয়ক্ষতির পরিমান নিরুপনের কাজ চলছে। সরকারি বরাদ্ধ পেলে ক্ষতিগ্রস্তদেরকে বিতরণ করা হবে।

Spread the love
       
 
 
    

Leave a Reply

Your email address will not be published.