রেজাউল ইসলাম টিটু
বরগুনা থেকে আগাম অর্থ প্রদান করে কেবিন বুকিং দেয়া যাত্রীদের না নিয়ে বরগুনা এবং আমতলী লঞ্চ ঘাট থেকে শুক্রবার ছেড়ে গেছে তিনটি লঞ্চ।
বরগুনা ঘাট থেকে শুক্রবার বিকেলে এমভি রয়েল ক্রুজ ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও তারা বরগুনা ঘাটে খুব সকালে ঢাকার যাত্রী নামিয়ে দিয়ে চলে যায়। এমনকি তারা সকলে ছেড়ে যাবে সেটা বুকিং দেয়া যাত্রীদের জানানো হয়নি।
একইভাবে আমতলী ঘাট থেকে বিকেলের অপেক্ষা না করেই সকালে ছেড়ে গেছে সুন্দরবন-৭ ও শতাব্দি বাধন।
বরগুনার সদর রোডের ব্যবসায়ী জাকির হোসেন জানান, রয়েল ক্রুজ লঞ্চে আমাদের কেবিন বুক করা ছিল তারা আমাদের না জানিয়ে সকালে ছেড়ে গেছে। আমাদের জরুরী ঢাকা যাওয়ার কথা ছিল।
আমতলির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন যাত্রী জানান, আমাদের না নিয়ে এমনকি না জানিয়ে লঞ্চ চলে গেছে। এছাড়াও আরও কয়েকজন যাত্রী জানান, তাদের বুকিংয়ের টাকাও ফেরৎ পাননি।
আমতলী ঘাটের দায়িত্বে থাকা শহীদ মিয়া জানান, দশ বিশজন যাত্রীর ভোগান্তির জন্য মালিক পক্ষ বেশি যাত্রী নষ্ট করবে না, তাই লঞ্চ ছেড়ে গেছে।
বরগুনা লঞ্চ ঘাটের সিদ্দিক মিয়া জানান, অনেক যাত্রী ঢাকা যাওয়ার জন্য ঘাটে এসেছে। তারা জানেনা লঞ্চ ছেড়ে গেছে এখন ঈদের সময় যাত্রীরা কিভাবে যাবে।
এ বিষয়ে বরগুনা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের এনডিসি নাজমুল হাসান বলেন, বিষয়টি নিয়ে ডিসি স্যারকে অবহিত করে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে হবে।
বরগুনার লঞ্চ ঘাটের পোর্ট অফিসার মামুন অর রশিদ বলেন, এটা সম্পূর্ণ অন্যায় তারা এভাবে যাত্রী না নিয়ে যেতে পারেন না। স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে তারা এমন করছেন।