স্টাফ রিপোর্টার
বরগুনা পৌর শহরের নয়াকাটা হিন্দু পাড়ায় নারীকে মারধর করে শাঁখা ভাঙার অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানা হয়েছে। এমন দাবিতে ওই এলাকায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মাঝে উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে।
শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বিষয়টি সমাধান করে শান্তিশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার আশ্বাস দেন।

স্থানীয়রা জানান, বর্জ্য ফেলা নিয়ে দুই বোন বুলু রানী ও টুলু রানীকে প্রতিবেশী অমল সরকার, তার স্ত্রী সুমি রানী ও মেয়ে অনামিকা বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে শুক্রবার দুপুরে ধারালো অস্র ও লাঠিসোঁটা দিয়ে ধাওয়া করে। একপর্যায়ে তারা বুলু ও টুলু রানীকে কামড়ে ও লাঠির আঘাতে আহত করে। বর্তমানে তারা বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তবে ঘটনার সময় লাঠির আঘাতে দুই বোনের হাতের শাঁখা ভেঙে যাওয়ায় বিষয়টি ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানা হয়েছে দাবি করে ওই এলাকায় উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে।

এ বিষয়ে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহত বুলু রানী ও তার বোন টুলু রানী বলেন, প্রতিবেশী অমল সরকার এবং তার স্ত্রী সুমি রানী ও মেয়ে অনামিকা প্রায়ই অহেতুক ভাবে আমাদের গাল মন্দ করে। এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে। তখন আমরা কিছুই বলিনি। এবার আমরা আইনী পদক্ষেপ নেব।

অভিযুক্ত পরিবারের সুমি রানী বলেন, রাগে নিজের ঘর কুপিয়েছি এবং হাতাহাতিতে শাঁখা ভেঙেছে।

স্থানীয় শুভাশ চন্দ্র রায় বলেন, সকালে অমলের পরিবার বিষয়টি সমাধানের জন্য আমাকে ডেকেছিল। কিন্তু আমি আসতেই দুপুরে তারা এমন কান্ড ঘটিয়েছে। আমায় ডেকে এনেই কেন মারপিট করতে হলো বুঝিনা।
এ বিষয়ে ওয়ার্ড কাউন্সিলর আল-আমিন তালুকদার বলেন, উভয় পক্ষকে নিয়ে বিষয়টির স্থায়ী সমাধানের চেষ্টা করছি। এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য সবাইকে অনুরোধ করেছি।
বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আহম্মেদ জানান, খোঁজ খবর নিয়ে শান্তিশৃঙ্খলা বজায়ের চেষ্টা করছি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।