আবুল হাসান
বরগুনার তালতলীতে ১০ জন মুক্তিযোদ্ধাকে ভুয়া বলে তাদের বিরুদ্ধে বরগুনা জেলা প্রশাসকের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন পাঠিয়েছেন তালতলীর সাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) কাওসার হোসনে। তার দেয়া তদন্ত প্রতিবেদনটি মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।ে
কড়ইবাড়িয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো.জালাল গাজী ওই ইউনিয়নের ইসাহাক মাঝিকে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা দাবি করে বরগুনা জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাওসার হোসনের কাছে বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেন।
তদন্ত র্কমর্কতা কাওসার হোসন তদন্ত শেষে ইসাহাক মাঝি, আ.বারেক মাঝি, সোনা মিয়া, আ.মান্নান খাঁন, নূরুল হক, আ.বারেক তালুকদার, ইয়াসিন খাঁন, শাহ্জাহান হাওলাদার, দলিল উদ্দিন আকন, গোলাম মোস্তফাসহ মোট ১০ জন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে বরগুনা জেলা প্রশাসকের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করেন। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পরে জেলা প্রশাসক সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করেন।
এবিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা (ইউএনও) কাওসার হোসেন বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকায় বরগুনা জেলা প্রশাসক আমার কাছে মুক্তিযোদ্ধাদের বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দিলে তদন্ত শেষে আমি ইসহাক মাঝিসহ ১০ জন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক বরাবরে প্রতিবেদন পাঠিয়েছি। এখন সার্বিক বিবেচনা করে জেলা প্রশাসক মহোদয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।
তদন্তকারী কর্মকর্তা বর্তমানে বরগুনা সদর উপজেলা নির্বাহি অফিসার পদে কর্মরত রয়েছেন।
বরগুনা জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান বলেন, তদন্ত কর্মকর্তার দেয়া প্রতিবেদনটি হাতে পাওয়ার পরে পর্যালোচনা করে দেখা গেছে তারা প্রকৃতপক্ষে মুক্তিযোদ্ধা নয়। সুতরাং তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী তারা ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বিবেচিত হয়েছেন। আমি তদন্ত প্রতিবেদন মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় পাঠিয়ে দিয়েছি। পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন আসার পরই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।