ঘাপটি মেরে বসে থাকা জামাত-শিবির পুলিশ সদস্যদের খুঁজে বের করতে হবে- এমপি শমভু

বরগুনা প্রতিনিধি

‘বিএনপি, জামায়াত শিবির ও স্বাধীনতা বিরোধী লালন ও বাস্তবায়নকারী পুলিশদের অন্যত্র নয়, স্থায়ীভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে হবে’ শুধু বদলী করলেই চলবেনা।’ ছাত্রলীগ কর্মীদের উপর হামলা ও সংসদ সদস্যের সাথে ঐদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের প্রতিবাদে জেলা আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ ও জনসমাবেশে বক্তব্যে বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু একথা বলেন।

মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বরগুনা প্রেসক্লাব চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি শমভু বলেন, বরগুনার ছাত্রলীগের উপর কতিপয় বিএনপি, জামায়াত শিবির ও স্বাধীনতা বিরোধী লালন ও বাস্তবায়নকারী দায়িত্বহীন পুলিশ যে অমানবিক নির্যাতন চালিয়েছে তা সারা পৃথিবীতে বিরল। এরকম দায়িত্বহীন পুলিশ কর্মকর্তাদের অন্যত্র বদলি নয়, এদেরকে স্থায়ীভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, পুলিশ প্রশাসনে জামাত-শিবির স্বাধীনতা বিরোধীচক্রের একটা অংশ ঘাপটি মেরে বসে আছে, এদেরকে চিহ্নিত করে চাকরি থেকে অচিরেই বরখাস্ত করা না হলে মুক্তিযুদ্ধের লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়ন অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে। ছাত্রলীগের উপর নির্মম হামলাকারীদের অতি দ্রুত সনাক্ত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি সাংসদ শমভুর।

ছাত্রলীগের কমিটি প্রসঙ্গে এমপি শমভু বলেন, কাউন্সিল বিহীন ঘোষিত বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের কমিটির মত এত নোংরা, একটা উৎশৃংখল, এত বাজে, স্বাধীনতার পর থেকে আর কোনদিন এরকম কমিটি হয়নি। এই কমিটির মাধ্যমে বরগুনায় যত অঘটনের সৃষ্টি হচ্ছে। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করব, তিনি নিজের হাত দিয়ে সাইন করে এই কমিটি বাতিল করে কাউন্সিলের মধ্য দিয়ে নতুন করে কমিটি গঠন করতে। এই কমিটি জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগসহ কোনো অঙ্গসংগঠনই মেনে নেয়নি এবং নিতেও পারবেনা। তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, এএসপি মহরমকে প্রত্যাহার করে নেয়ার পাশাপাশি অন্যান্য আরো পাঁচজনকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

এএসপি মহরম সম্পর্কে বলেন, তিনি জামাত শিবির রাজাকার পরিবার থেকে চাকরিতে নিযুক্ত হয়েছেন। তিনি যে বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেছেন সেখানে সরাসরি জামাত শিবির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। এএসপি মহরমের পিতা সরাসরি বিএনপি রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। মহরমকে স্থায়ীভাবে চাকরিচ্যুত করা না হলে বরগুনার গণ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।’

সমাবেশ শেষে নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে এএসপি মহরমের কুশপুত্তলিকা পোড়নো হয়। বিক্ষোভ মিছিল ও গণ সমাবেশে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, কৃষক লীগ, শ্রমিকলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগের একাংশসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন।

Spread the love
       
 
 
    

Leave a Reply

Your email address will not be published.