স্টাফ রিপোর্টার
ইউপি সদস্যকে মারধরের ঘটনায় বরগুনার ঢলুয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলার ঘটনায় ওই এলাকার জনগণ মানববন্ধন করেছেন। একই দিনে ওই ভুক্তভোগী ইউপি চেয়ারম্যান নিজেই বরগুনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন।
বুধবার (২৭ জুলাই) সকালে এলাকার জনগণ বরগুনা প্রেসক্লাব চত্ত্বরে ঘন্টাব্যাপি মানববন্ধন ও রাত ৮ টার দিকে ঢলুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও জেলা কৃষক লীগ’র সভাপতি আলহাজ্ব আজিজুল হক স্বপন বরগুনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি ঢলুয়া ইউনিয়নের নির্বাচিত চেয়ারম্যান। ইতোপূর্বেও আমি ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। আমার বিরোধীয় জামাত বিএনপি সমর্থিত এক মাহিলা মেম্বরের স্বামী বাবুল মোল্লা আমাকে হয়রানি মূলক মিথ্যা মামলা ও হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগ করে ইউনিয়ন পরিষদের সেবার মান ক্ষুন্ন করছেন। আমার ধারনা, তারই ধারাবাহিকতায় আমার ইউনিয়ন পরিষদের দুই সদস্যের উপর হামলা করা হয়েছে। এ বিষয়টি খতিয়ে দেখা দরকার। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাবুল মোল্লাসহ কিছু সাইবার দুস্কৃতিকারী আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপ-প্রচার চালিয়ে আসছে।
তিনি আরো বলেন, ১৯ জুলাই সন্ধ্যায় আমার ইউনিয়নের খাজুরা এলাকায় দু’জন ইউপি সদস্যের উপর অনাকাঙ্খিত হামলা হয়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ২৪ জুলাই বরগুনার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আমাকে ১নং আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমি এ ঘটনার সাথে আদৌ জড়িত না। ইহা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি ইউপি সদস্যদের ওপর হামলার সাথে যারা জড়িত তাদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করেন। একই সাথে তিনি তাকে জড়িয়ে যে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে, তা প্রত্যাহার করার দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. গোলাম মোস্তাফা কাদের, সহ-সভাপতি মো. নাসির উদ্দিন, মো. ছগির, সমাজ সেবক মোসলেম আলী মাষ্টার, শ্রমিকলীগ আহ্বায়ক আ. হালিম মোল্লা, সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য মাসুমা আক্তার তন্নী, ফজিলাতুন্নেচ্ছা মুন্নীসহ ইউনিয়নের বর্তমান ও সাবেক সদস্য ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
উল্লেখ্য, দুই ইউপি সদস্যর ওপর হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ২৪ জুলাই ওই ইউনিয়নের ইউপি সদস্য গোলাম ফরিদের বাবা বাদী হয়ে ঢলুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আজিজুল হক স্বপনকে প্রধান আসামী করে ৭ জনের বিরুদ্ধে বরগুনা চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।