মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন মুন্না
বদলির আদেশ উপেক্ষা করে নতুন কর্মস্থলে যোগ না দিয়ে আগের কর্মস্থলে এসে গোপনে অফিস করছেন বেতাগীর উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শাহিনুর বেগম।
গতকাল সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত তিনি অফিস করছন।
জানা যায়, গত ২৩ মে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে বেতাগীতে উপজলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শাহিনুর বেগমকে বান্দরবন জেলার থানচি উপজেলায় বদলি করা হয় ।
ওই প্রজ্ঞাপন ৩০ মে ২০২২ তারিখের মধ্যে তাকে নতুন কর্মস্থল বান্দরবনের থানচি উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয় যোগদান করতে বলা হয়েছে।
অন্যথায় ৩০ মে ২০২২ তারিখের অপরাহ্ন থেকে বর্তমান কর্মস্থল হতে তাৎক্ষণিক অবমুক্ত হিসেবে গণ্য হবেন বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।
আদেশ উল্লিখিত সময়সীমা অতিক্রম হলেও তিনি তার নতুন কর্মস্থলে যোগদান করেননি। বরং পুরনো কর্মস্থলে এসে গোপনে অফিস করছেন।
বেতাগী উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শাহিনুর বেগম গোপনে অফিস করেছন এমন খবর পেয়ে গত বুধবার তার কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায় শাহিনুর বেগমের অফিস কক্ষটি বাইরে থেকে তালাবদ্ধ রয়েছে। পাশের রুমে তিনজন মহিলা বসে আছন। কথা বলার উদ্দশ্যে তাদের কাছে গিয়ে দেখা যায় শাহিনুর বেগম মুখে ওড়না পেচিয়ে সাধারণ একটি চেয়ারে বসে অফিসের কাজ করেছন।
এসময় সাংবাদিক তার কাছে স্ট্যান্ড রিলিজের কথা জানতে চাইলে তিনি তার কোন উত্তর না দিয়ে দ্রুত ওই রুম ত্যাগ করে তার রুমের দরজা বন্ধ করে দেয়।
স্ট্যান্ড রিলিজের পরও তিনি কিভাবে অফিস করেছন এ বিষয় জানতে চাইলে তিনি কোন উত্তর না দিয়ে ওয়াশ রুমে চলে যান।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেতাগী উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ে কর্মরত কয়েকজন জানান, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শাহিনুর বেগমকে গত ২৩ মে বান্দরবনের থানচিতে বদলি করা হয়। ৩১ মে মঙ্গলবার বরগুনা জলা অফিস থেকেও তাকে অব্যহতিপত্র দেওয়া হয়েছে। তারপরও তিনি কোন আইনের ভিত্তিতে অফিস করছেন তা আমাদের জানা নেই।
সার্বিক বিষয় জানতে বরগুনা জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মেহেরুন নাহার মুন্নির মুঠোফান একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
বেতাগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সুহৃদ সালেহীন বলেন, বেতাগী উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শাহিনুর বেগমকে বান্দরবনের থানচিতে বদলি করা হয়েছে। ৩০ মে এর মধ্যে তার বেতাগী কর্মস্থল ত্যাগ করার কথা। বদলি আদশে উল্লেখিত সময়সীমার পর কোন অবস্থাতেই তার অফিস করার সুযাগ নেই। আমি এই বিষয় জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার সাথে কথা বলবো।